সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক এখন থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মামলা লড়বেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুদকের পরিচালক (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ ইকবাল বাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদকের পক্ষে ‘কেইস টু কেইস ভিত্তিতে’ মামলা পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে শাহদীন মালিককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সেজন্য তিনি নির্ধারিত হারে ‘কেইস টু কেইস ভিত্তিতে’ মাসিক সম্মানি প্রাপ্য হবেন।এই দায়িত্বে থাকাকালে দুদকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে কাজের মূল্যায়ন করে তার নিয়োগ বহাল রাখা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে দুদক। প্রয়োজনে কমিশনের অনুসন্ধান/তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এজাহার প্রস্তুত ও চার্জশিট দাখিলে সহযোগিতা করতে হবে।
এ নিয়োগ সম্পূর্ণ অস্থায়ী এবং কোনো কারণ না দেখিয়েই কমিশন যে কোনো সময় নিয়োগ বাতিল করতে পারবে।
এদিকে পৃথক এক নোটিশে দুর্নীতি দমন কমিশনে কেস টু কেস ভিত্তিতে মামলা পরিচালনা করতে ৫২ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের জন্য আইনজীবী হিসেবে আরো ১৮ জনকে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের জেলার জন্য অস্থায়ীভাবে কেস টু কেস ভিত্তিতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগের জন্য ৩৪ আইনজীবীর নাম সুপারিশ করা হয়।
দুদকের কেস টু কেস ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের তালিকা
রাগীব রউফ চৌধুরী, খান মোহাম্মদ মইনুল হাসান, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, মোঃ কামরুজ্জামান (কচি), ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসাইন, ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান (মিলন), মোঃ আরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল আরেফিন (স্বপন), এস. এম. ইকবাল বাহার ভুইয়া, মোঃ সাইফুল মালেক চৌধুরী, মোঃ কামাল হোসাইন, ব্যারিস্টার এ. এস. এম. সাজ্জাদ হায়দার , ব্যারিস্টার শাহীন আহমেদ, মোঃ আসিফ হাসান , মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বাঁধন, ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার ও ব্যারিস্টার শাহজাদা আল আমিন।
অস্থায়ীভাবে কেস টু কেস ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত পিপিদের তালিকা ও জেলা
ঢাকা জেলা – মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, মোঃ নূরে আলম, কাজী মোঃ সুলতান মাহমুদ, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ খাদেমুল হক, মোঃ দেলোয়ার জামান রুমি, মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ, সামসুদ্দিন মোহাম্মদ আবুল কালাম, মোঃ খালিদ হোসেন, খন্দকার শামীম হোসেন, মরিয়ম আক্তার লাকি, এম. এ. মান্নান হাওলাদার, মীর আহমেদ আলী সালাম, শাহ মোঃ নাজমুস সাকিব, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান ও খন্দকার মশিউর রহমান।
চট্টগ্রাম জেলা – রেজাউল করিম রনি, মোঃ কবির হোসেন ও মোকাররম হোসেন।
রাজশাহী জেলা – মোঃ আমজাদ হোসেন ও মোঃ সেলিম রেজা।
সিলেট জেলা –মোহাম্মদ শফিউল আলম
কুমিল্লা – মোঃ মফিজুল ইসলাম।
বরিশাল জেলা – নাজিম উদ্দিন আহমেদ (পান্না), মোঃ মাহাবুবুল ইসলাম, এ. কে. নূর উদ্দিন আহাম্মেদ।
রংপুর – আব্দুল হাদি বেলাল
ময়মনসিংহ জেলা – এ. কে. এম. আজিজুল হক খান।
বগুড়া জেলা – গোলাম দস্তগীর সরকার, মোছাঃ মাহবুবা খাতুন সুখী ও মোঃ আনোয়ার হোসেন।
কুষ্টিয়া জেলা – মোঃ আব্দুল মোনাফ।
যশোর জেলা – আসাদুর রহমান খান
নোয়াখালী জেলা – মোহাম্মদ জহির উদ্দিন
প্রসঙ্গত, দুদক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্যানেল আইনজীবী ও পিপি নিয়োগ দিয়ে থাকে। কমিশনের ওয়েবসাইটে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পিপি নিয়োগের জন্য ১০ বছর মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ন্যূনতম ১০টি মামলা নিষ্পত্তির শর্ত দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০টি মামলা নিষ্পত্তির শর্ত রয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের ক্ষেত্রে এ শর্ত কিছুটা শিথিল। তবে রাজনৈতিক দলের পদে থাকা, সাজাপ্রাপ্ত হওয়া বা ঋণ খেলাপি হলে তারা অযোগ্য বিবেচিত হবেন।