স্থায়ী নিয়োগ পাচ্ছেন হাইকোর্টের ৯ বিচারপতি, শপথ বিকেলে

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে আপিল বিভাগ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই এ বিষয়ে হাইকোর্ট আর কোনো রিট শুনবে না।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী রিটকারীর আইনজীবী সরদার আবুল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এর আগে রিট করা হয়েছিল, তখনও আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। তাই আমরা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা ভুল বুঝিয়ে রিটটি মেনশন করেছেন। আমরা যদি জানতাম এটা ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কিত, তাহলে নিতাম না।” পরে আদালত রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার, যিনি ভিপি প্রার্থী ছিলেন। রিটে বলা হয়, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর (২৬) না রাখা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।

পরে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় জুলিয়াস সিজারের নাম থাকলেও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। অভিযোগে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা বলা হয়। আপিল ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি শুনানি হলেও কমিশন শেষে তার নাম ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।

প্রসঙ্গত, জুলিয়াস সিজার অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এজন্য তিনি গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।