৮৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি

১২১তম বারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

সাগর-রুনি হত্যা মামলা

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এবার নিয়ে একশত একুশ বারের মতো প্রতিবেদন দাখিল পিছোল। আদালত নতুন তারিখ হিসেবে আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এ নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

এদিন বেলা ১২টা ১০ মিনিটে মামলার তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

এ সময় বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, আপনি কি সিআইডিতে?

তখন কর্মকর্তা বলেন, না স্যার। আমি পিবিআইতে।

বিচারক তখন বলেন, এই মামলায় তদন্তে অগ্রগতি কতদূর?

তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তদন্তের। আমি এই মামলার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দুই জনের মিক্সড ডিএনএর তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব কারণে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও, উচ্চ আদালতে থেকে আরো সময় নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : অনলাইন জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় কঠোর ব্যবস্থা: সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে শাস্তির বিধান

পরে বিচারক বলেন, যা বুঝলাম। এই মামলায় আগে তদন্ত কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনিও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

এর আগে, ১১ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

আলোচিত এ মামলার আট আসামির মধ্যে রয়েছেন নিহত রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। পরদিন তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে থানার এক এসআই, পরে ডিবি, র‍্যাব এবং সর্বশেষ পিবিআইয়ের হাতে যায়। গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশে অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয় এবং ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এখনো তদন্ত শেষ হয়নি।