ট্রেনে দাঁড়ানো যাত্রীদের জন্য শতভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট চালু করা এবং ট্রেন ও মেট্রোরেলে ছাত্র-ছাত্রী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদন দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে নরসিংদীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান মুরাদ এ রিট করেন।
ট্রেনে যাত্রীসেবা বাড়ানো এবং অনিয়ম রোধ করার জন্য রিট আবেদনে একাধিক নির্দেশনার দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো—
১. ট্রেনে দাঁড়ানো যাত্রীদের জন্য ১০০% স্ট্যান্ডিং টিকিট পুনরায় চালু।
২. ছাত্র-ছাত্রী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়া নির্ধারণ।
৩. রেলওয়ে স্টেশনে স্থাপিত ভেন্ডিং মেশিনে অতিরিক্ত চার্জ না কাটা।
৪. ভিড় কমাতে ও যাত্রীবান্ধব সেবা দিতে ট্রেনে পর্যাপ্তসংখ্যক বগি সংযোজন।
৫. শিডিউল অনুযায়ী সময়মতো ট্রেন পরিচালনা।
৬. স্টেশনে মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন।
৭. দুর্নীতি রোধে আন্তঃনগর ট্রেনে টিটিইর পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বগির অ্যাটেনডেন্টের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা এবং কমিশন প্রদান।
৮. নরসিংদীসহ সব কমিউটার ট্রেনে অসুস্থ ও প্রথম সারির যাত্রীদের জন্য অনলাইন/অফলাইনে সিট বুকিংয়ের সুযোগ।
৯. মেট্রোরেলে শুধুমাত্র মাগরিব নামাজের স্থান নির্ধারণ।
১০. মেট্রোরেলে পাবলিক টয়লেটের ইজারা বাতিল।
১১. কমলাপুর রেলস্টেশনে জয়দেবপুর কাউন্টারে নরসিংদীর টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা।
১২. তিতাস কমিউটার ট্রেনের টয়লেটে নিয়মিত পানি ও পাত্র রাখা।
১৩. যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে বাউন্ডারির বাইরে স্থানান্তর।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলপথ মহাপরিচালক এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (মেট্রোরেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।