কক্সবাজারে এক রোহিঙ্গাসহ ২ ইয়াবাকারবারীর জেল-জরিমানা
জেলা জজ আদালত, কক্সবাজার। ছবি: মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী

কক্সবাজারের জেলা জজের খাস কামরা থেকে মোবাইলসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি : থানায় মামলা

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের খাস কামরা থেকে ২টি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ১টার মধ্যে আদালত ভবনের ভেতরে এ চুরি সংঘটিত হয়।

এ ঘটনায় একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। চুরি হওয়া জিনিসের মধ্যে রয়েছে—আইফোন ১৪, ভিভো ১২, বাণিজ্যিক ব্যাংকের এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, নগদ টাকা, মানিব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।

চুরি হওয়া জিনিসগুলো বিচারক মামুনুর রশিদের ব্যক্তিগত সামগ্রী। তিনি বর্তমানে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হিসেবেও দায়িত্বে আছেন।

কক্সবাজার আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভা.) বেদারুল আলম জানান, বিচারক মামুনুর রশিদ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় আদালতের কাজ শেষ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার কার্য পরিচালনা করতে যান। সেই সময়েই অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সুকৌশলে খাস কামরায় প্রবেশ করে মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।

বেঞ্চ সহকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিনের মতো বিচারক মামুনুর রশিদ মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য দ্রব্য রেখে আদালতের এজলাসে ওঠেন। বিচার চলাকালীন সময়েই চোর খাস কামরার দরজা খুলে সবকিছু নিয়ে যায়।”

কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফারুখ হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, “বিচারক মামুনুর রশিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগসহ অন্যান্য সামগ্রী চুরির ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা চুরি হওয়া জিনিস উদ্ধার ও অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।”

এ ঘটনার পর আদালত এলাকায় বিচারক ও বিচারাঙ্গনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ছৈয়দ আলম বলেন, “দিনদুপুরে বিচারকের খাস কামরা থেকে চুরি হওয়া ভয়াবহ নিরাপত্তা ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। বিচারক ও বিচারাঙ্গনের মতো স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আদালত ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”