বাকশাল প্রবর্তন সংক্রান্ত সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু

বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

এর আগে ২০২৫ সালের ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ।

এর ধারাবাহিকতায় ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং আরও কয়েকজন আবেদনকারী হিসেবে আপিল দায়ের করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু হয়। কিন্তু এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু পরে আপিল বিভাগে বিষয়টি ওঠে।

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করেন।

এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলোপ করে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

পরবর্তীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০২৫ সালের ১৬ অক্টোবর এবং জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর পৃথক রিভিউ আবেদন দাখিল করেন।

এছাড়া নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন গত বছর আপিল বিভাগের ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আরও একটি আবেদন করেন।