৯৭ সহকারী জজ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
বিচারক (প্রতীকী ছবি)

তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের তিন শতাধিক বিচারককে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। এছাড়া দুই শতাধিক বিচারককে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সভায় ২০টিরও বেশি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি, এবং বিচার প্রশাসনের সার্বিক কার্যক্রম ছিল আলোচনার মূল বিষয়। তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে সুপ্রিম কোর্টের ২০২৬ সালের বার্ষিক ক্যালেন্ডার অনুমোদনের বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়।

সভায় আলোচিত অন্যতম বিষয় ছিল রেইনট্রি হোটেল মামলার বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বহাল সংক্রান্ত বিষয়। আপিল বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসামিকে জামিন দেওয়ায় তার বিচারিক ক্ষমতা স্থগিত ছিল। ফুলকোর্ট সভা বিষয়টি জিএ কমিটিকে পর্যালোচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। এই তালিকায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা জজ পদে ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে ২০৭ জন, এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ পদে ৫৫১ জন রয়েছেন।

আরও পড়ুন : ৪১ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ৬৭ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ

সভায় আলোচিত সূত্রে জানা যায়, ফুলকোর্ট সভায় প্রাথমিকভাবে জেলা জজ পদে তিন শতাধিক বিচারকের পদোন্নতির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে পর্যায়ক্রমে প্যানেল অনুযায়ী অন্যান্য পদোন্নতি কার্যকর করা হবে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, “সম্প্রতি ১৯১টি নতুন জেলা জজ পদ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত তৈরি হওয়ায় একসঙ্গে এত বড় পদোন্নতির প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে।”

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, “এবারের ফুলকোর্ট সভায় পদোন্নতি ছাড়াও প্রশাসনিক বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য ছিল। নতুন পদ সৃষ্টি এবং একাধিক ব্যাচের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়েই সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টে অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও রাষ্ট্রপতির দপ্তরের অনুমোদনক্রমে কার্যকর করা হয়।