রাজশাহীতে দায়রা জজ আব্দুর রহমানের বাসায় সন্ত্রাসী হামলা, তাঁর ছেলেকে হত্যার পর স্ত্রীকে গুরুতর জখমের ঘটনায় এক নতুন আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় মামলার আসামি লিমন মিয়া গণমাধ্যমে যে ভিকটিম ব্লেমিং বক্তব্য দিয়েছেন, তা অপসারণসহ পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করা হয়েছে।
এই রিটটি করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল)। রিটে পিটিশনারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান। রিটটি আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের দ্বৈত বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিটিআরসি চেয়ারম্যান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ রাজপাড়া থানা, জালালাবাদ থানা এবং বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে—
-
ভুক্তভোগী বিচারক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিবাদীদের কেন দায়ী করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির অনুরোধ করা হয়েছে।
-
একই সঙ্গে বিচারক ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
-
পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মিডিয়ায় প্রচারিত আসামির ভিকটিম ব্লেমিং বক্তব্য অপসারণে বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
-
এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি তোলা হয়েছে।
-
পূর্বে জারি করা বিচারকদের নিরাপত্তা বিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের পরিপত্র দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষ দাবি করা হয়, এই হামলা দেশের বিচারব্যবস্থা, বিচারকদের নিরাপত্তা এবং বিচারকদের পরিবারকে নিয়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্বের ওপর সরাসরি আঘাত করেছে। ফলে পুলিশের ত্রুটি, অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা পরীক্ষা করতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত জরুরি।
রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে বলে জানা গেছে।

