সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের অধস্তন আদালতে কী পরিমাণ নিরাপত্তা আছে, সে বিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী এবং বিচারপতি রাজিউদ্দীন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রুলে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোয় কর্মরত বিচারক এবং তাদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক এবং মোকাদ্দাস আহমদ।
শুনানিতে আইনজীবীরা উল্লেখ করেন, বিচারকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত।
তাঁরা জানান, এর আগে ২০০৫ সালে বিচার বিভাগের দুই বিচারককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে বিচারকদের বাসায় চুরি ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ রাজশাহী মহানগর দায়রা জজের ছেলেকে খুনের ঘটনা বিচারকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আইনজীবীদের ভাষায়, “এগুলো বিচার বিভাগের জন্য অশনী সংকেত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনালগুলোয় কর্মরত বিচারক এবং তাদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু সেই আদেশের পর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চলতি বছরের গত ১৬ নভেম্বর আইনজীবী মেহেদী হাসান বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

