নিবন্ধন ছাড়া সার উৎপাদন, মজুত ও বিপণন করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত নতুন একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভাশেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানিয়েছেন। সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনে মন্ত্রিপরিষদের নতুন অফিসে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সচিব জানান, আজকের বৈঠকে দুটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুটিরই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ সংক্রান্ত আগের আইনে সামান্য পরিবর্তন এনে নতুন আইন করা হয়েছে। এ আইনে বলা হয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া কেউ সার উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাত ও মজুত করলে তার সর্বোচ্চ সাজা হবে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। আগে এর শাস্তি ছিল ছয় মাসের জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।
সার ব্যবস্থাপনার জন্য আগের ১৫ সদস্যের কমিটি বাড়িয়ে ১৭ সদস্যের করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হবেন কৃষি সচিব। কমিটিতে শিল্প সচিবও থাকবেন। নতুন আইনের ২১-এর (প) ধারায় সার নিয়ে কেউ মিথ্যা মামলা করেল এবং তা প্রমাণিত হলে ওই ধারায় যে সাজা আছে তা বাদীর হবে। তবে ১০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৮-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ কর্তৃপক্ষে একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য থাকবেন। চেয়ারম্যান ও সদস্য সরকার কর্তৃক মনোনীত হবেন। তাদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা সরকার নির্ধারণ করবেন। দক্ষতা বাড়াতে ১০ ধরনের কাজ করবে এ কর্তৃপক্ষ। এই কর্তৃপক্ষ দেখভালের জন্য ৩০ সদস্যের গভর্নিং বড়ি থাকবে। এর প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। যিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন অর্থমন্ত্রী। এর বাইরে শিক্ষা, শ্রমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও এফবিসিসিআই সভাপতিসহ এই গভর্নিং বডিতে থাকবে। বছরে অন্তত একটি সভা করবে তারা। গভর্নিং বডি চাইলে এর সদস্য বাড়াতে পারবে। এর বাইরে একটি কার্যনির্বাহী কমিটিও থাকবে। এর চেয়ারম্যান হবেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব। এই কমিটি বছরে তিনবার সভা করবে।
এছাড়া, সভায় প্রধানমন্ত্রী তার কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেছেন। সফর সম্পর্কে তিনি তিনটি বিষয় মন্ত্রিসভায় উল্লেখ করেছেন। ১. বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়েছেন। ২. রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নে অসহযোগিতা করছে তারা। এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ৩. রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে কফি আনার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কানাডার সহযোগিতা চেয়েছে।