আগামী নির্বাচনের আগে সমাজের নানা পর্যায়ে সংঘটিত ফৌজদারি অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা চান জেলা প্রশাসকরা। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতার বাইরে ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা তা আমলে নিতে পারেন না। ফলে তাদের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য তারা দণ্ডবিধির (সিআরপিসি) ১৯০(৪) ধারা মতে, অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা চান।
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার(১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় তারা এ দাবি জানান।
আলোচনা অংশ নিয়ে ডিসিরা বলেন, শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। তারা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আগের মতো ক্ষমতা না থাকায় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও তৈরি হচ্ছে। তাই সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা দিলে অপরাধ কমে আসবে বলে তারা মনে করেন।
সূত্র জানায়, অপরাধ আমলে নেওয়া বলতে বোঝায় কোনো বিষয় সম্পর্কে বিচারিক শুনানি। অর্থাৎ আদালত বা বিচারক কোনো বিষয় সম্পর্কে বিচারিক নজরে আনা। ম্যাজিস্ট্রেটদের অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হলে কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা প্রস্তুত করে বিচারের জন্য বিচারিক আদালতে পাঠাবেন। আদালত চূড়ান্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাজ হবে শুধু অপরাধ আমলে নিয়ে অপরাধীদের বিচারের মামলা প্রস্তুত করা। বিচারের দায়িত্ব আদালতের।
মুক্ত আলোচনায় দুইজন বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলা প্রশাসক অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের কথা শোনেন। এসময় তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া যেকোনো অপরাধ কঠোর হস্তে প্রতিহত করতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আরও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
জানা গেছে, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বাইরে উত্তাপ ছড়িয়েছে ফৌজদারি অপরাধ আমলে নেওয়ার প্রসঙ্গটি। কারণ, আগামী নির্বাচনের আগে দেশে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় অগ্নিসংযোগ ও রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও ম্যাজিস্ট্রেটরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন না। কারণ, এসব অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতার বাইরে এসব অপরাধ। তাই ফৌজদারি অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হলে তারা এ ধরনের ঘটনা শক্ত হাতে প্রতিহত করতে পারবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
মুক্ত আলোচনায় ডিসিরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আরও কার্যকর করা, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের চতুর্থ গ্রেডের সুযোগ, সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা সুযোগ বাড়ানো, পার্বত্য এলাকার ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিটিতে জেলা প্রশাসকদের সদস্য করার প্রস্তাব করেন।
সম্মেলনে একজন জেলা প্রশাসক কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে কোনো কোনো ক্ষেত্রে একধরনের প্রভাবশালীদের চাপের মুখে পড়তে হয়। তাদের কারণে অনেক সময় সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার করা যায় না। এ কারণে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা চতুর্থ গ্রেডের সুযোগ-সুবিধা পান না। তারা সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব পদে কর্মরত থাকাকালে পঞ্চম গ্রেডের সুবিধা পান। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর পান তৃতীয় গ্রেডের সুবিধা। ফলে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা চতুর্থ গ্রেডের সুযোগ-সুবিধা পেলেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা এটি পান না। এতে অনেক ক্ষেত্রে আন্তঃক্যাডারে সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। এটি দূর করতে প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিবরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর যাতে চতুর্থ গ্রেডের সুবিধা পান সেটি বিবেচনার প্রস্তাব করেন তিনি। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আদালত অবমাননা মামলায় হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতায়াত ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৬৪ (সংশোধিত)-এর যথাযথ প্রয়োগ নেই। মার্কেটিং লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক হলেও কার্যকারিতা নেই। এ কারণে আধুনিক বিপণন সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। বন্যায় প্রতি বছর জেলায় আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আপদকালে প্রতিটি উপজেলায় আমন ধানের চারার বাফার স্টক তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা অবসর সুবিধাসহ বিভিন্ন কাজে সচিবালয়ে আসেন। তাদের জন্য নির্ধারিত বসার জায়গা না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এজন্য সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য লাউঞ্জ স্থাপনের সুপারিশ করেন তিনি।
একাধিক জেলা প্রশাসক বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ দফাদার ও মহলদারদের দিয়ে পরিচালিত হয়। একজন দফাদার প্রতি মাসে ৩ হাজার চারশ’ টাকা হারে এবং মহলদার ৩ হাজার টাকা করে বেতন পান। সামান্য বেতন দিয়ে তারা তাদের পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতে পারেন না। তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করেন তারা। তারা আরও বলেন, সচিবালয়সহ অন্য অফিসে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে নবম গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীরা পদোন্নতি না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করে। সচিবালয়ের মতো তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলে কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়বে। দাপ্তরিক কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জনপ্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মূল্যায়িত হন না। এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার (গোয়েন্দা) প্রতিবেদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে প্রশাসনের গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) বিবেচনার প্রস্তাব করেন।
একাধিক জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি স্বার্থ রক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অনেক সময় আদালত অবমাননা মামলা হয়। এতে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিত হতে হয়। সরকারি স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে কর্মকর্তারা হয়রানির শিকার এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা আদালত অবমাননা মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি এবং মামলাটি সরকারি কৌঁসুলি দিয়ে পরিচালনার প্রস্তাব করেন।
তারা আরও বলেন, সিআরপিসি এবং ওথস অ্যাক্ট অনুযায়ী এফিডেভিট-সংক্রান্ত কাজ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে হয়। তারা হলফনামা বা শপথ বা ঘোষণাপত্র সম্পাদন করার বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনার সুপারিশ করেছেন। হাইকোর্টের দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে ডিসি অফিসের সমন্বয়ের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে একটি সমন্বয় সেল গঠনের প্রস্তাব করেছেন তারা।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, জরুরি প্রয়োজনে বা চিকিৎসার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি নিতে হয়। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেতে অনেক সময় লেগে যায়। ছুটির বিষয়টি বিকেন্দ্রীকরণের জন্য তিনি বিভাগীয় কমিশনারদের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাপকভাবে পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ভারসাম্য তথা চট্টগ্রামের সৌন্দর্যহানি ঘটেছে। চট্টগ্রামসহ সকল পার্বত্য জেলায় অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করাসহ পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগতদের আহার বাবদ খাদ্যশস্য সহায়তা (জিআর) দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এজন্য জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। জিআর চাল বরাদ্দ পুনরায় চালুর প্রস্তাব করেন তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, কারাগারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলে বন্দি ও আটক আসামিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রোধ করা সম্ভব হবে। কারাগারের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি ডাবল ফিডার বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর সুপারিশ করেছেন। হাট-বাজারের চান্দিনাভিটির বন্দোবস্ত সেলামির পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি রেজওয়ানুর রহমান।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি কম দেখানোর উদ্দেশ্যে দেশের কিছু সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নামজারির ক্ষেত্রে নানামুখী সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল নিবন্ধন রোধ বন্ধ করতে হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের কিছু এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনার জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান বলেন, দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। এজন্য এসব এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপন করতে হবে। এটি কার্যকর হলে এসব অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমবে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার দাস বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ খানজাহান আলীর ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন তার জেলায় অবস্থিত। এখানে দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত কোনো হোটেল, মোটেল বা রেস্টহাউস নেই। এসব প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সুপারিশ করেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন প্রস্তাব করেন, দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে বিদেশি বিজ্ঞাপন বাংলা ভাষায় ডাবিং করে প্রচারিত হওয়ায় দেশি শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এগুলো দেখে শিশু ও তরুণরা বিকৃত উচ্চারণে বাংলা বলতে আগ্রহী হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে বিদেশি মডেল থাকায় পরোক্ষভাবে দেশি পণ্য ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। বিদেশি ভাষায় নির্মিত বিজ্ঞাপনের ডাবিং ভার্সন প্রচার বন্ধ করতে নীতিমালা করা যেতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেন, ঢাকা শহরের চারটি প্রধান নদী শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু মৃতপ্রায়। যেসব খাল, ডোবা বা নালা দিয়ে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে তার উৎসমুখ চিহ্নিত করে বর্জ্য পরিশোধনাগার করার প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। সমকাল