২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড হলে বিদেশে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) দেওয়া হয়। তবে তারেক রহমানের তো যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া সমর্থন করে না। তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাদেরকে আদালত থেকে বিনা খরচে রায়ের কপি দেওয়া হয়। আর তারা যদি আপিল ফাইল করে তবেও সেটা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেব। তবে এটাতে পেপারবুক তৈরি করার বিষয় রয়েছে, সেগুলো আদালতের বিষয়। মামলার আপিল শুনানিতে আমাদের পদক্ষেপগুলো আমরা নেবো।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, তবে সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখবো। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ ছিল তবে দণ্ড বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করবো। কিন্তু সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় একজন পাকিস্তানি নাগরিকেরও সাজা হয়েছে। এখানে আমরা অনুমান করছি বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য, নেতৃত্বশূন্য করতে পাকিস্তান এখনো নিবৃত হয়নি। পাকিস্তান ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে জেএমবিসহ জঙ্গিদের দমন করতে সফল হয়েছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিকের দ্বারা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। দেশটিকে অস্থিতিশীল করতে পাকিস্তানের ইন্ধন থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে খুন করেননি, কিন্তু খুন করিয়েছেন, সেজন্যও তার ফাঁসি হয়েছে। তাই আমারও মনে হয় তারেকের অন্যান্যদের মতো ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিল। আজকের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে রাষ্ট্রীয় সমর্থন, প্ররোচনা ও অর্থায়নে এসব কাজ করেছে সাজাপ্রাপ্তরা।’