জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
আজ শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় বনানীতে জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় সংগঠনটি।
এ সময় সংগঠনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ৩ নভেম্বরের নিষ্ঠুরতা-পৈশাচিকতার ভয়াল ক্ষতচিহ্ন এখনও স্পষ্ট। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন নিউ জেল, বর্তমানে যার নাম দেয়া হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী সেল। এই সেলে সারিবদ্ধ চারটি কক্ষ। সেলের প্রথম কক্ষের বিশাল লোহার দরজা। সেই দরজার মোটা লোহার রডে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তিনটি বড় বড় গর্ত জানান দিচ্ছে কী নিষ্ঠুরতাই না ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কালরাতে। এই কক্ষেই জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে ব্রাশ ফায়ার এবং পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা। আজ সেই ভয়াল-বীভৎস ৩ নভেম্বর। বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের আরেক ভয়ঙ্কর দিন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর কলঙ্কিত দিন। রক্তক্ষরা জেলহত্যা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কটি দিন চিরকাল কালদিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এদিনে।
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৪৩ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যার পর বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে একই বছরের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার বীরসন্তানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।