ক্ষমতার অপব্যবহার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে তারাকান্দা থানার ওসি মাহবুবুল হক ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফারুক আহামেদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তারাকান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার।
মামলাটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমির উদ্দিন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- এএসআই নাজিম উদ্দিন, এফএম তোফায়েল, কনস্টেবল মতিউর , জাকির হোসেন, ইলিয়াস মিয়া, মো. হুমায়ুন কবির, ইব্রাহিম, শফিকুল ইসলাম।
ময়মনসিংহ কোর্ট ইন্সপেক্টর শেখ জাহিদুল হক বলেন, ‘তারাকান্দা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নতুন ধারা কালচারাল ইনডোর অডিটোরিয়াম লিমিটেড নামের একটি সংগঠন খুলে তারাকান্দার বিভিন্ন স্থানে হাউজিসহ লটারি ও জুয়া খেলার জন্য ইনডোর অডিটোরিয়াম তৈরি ও খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খেলা পরিচালনার জন্য এই নিয়ে হাইকোর্টের একটি রিটের আদেশও আছে আব্দুল জব্বারের পক্ষে। গত ৪ নভেম্বর হাউজিসহ লটারি খেলা উদ্বোধন করার সময় তারাকান্দা থানার ওসি মাহবুবুল হক, ডিবির ইন্সপেক্টর ফারুক আহামেদ তার কাছে পুলিশ সুপারের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা, ওসি তারাকান্দা ও ইন্সপেক্টর ফারুক আহামেদকে প্রতিদিন ১ লাখ করে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা অডিটোরিয়াম ভাঙচুরসহ মালামাল নষ্ট করে। এসময় খেলার কাজে নিয়োজিত ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে ওই দিনই তারাকান্দা থানায় একটি মামরা দায়ের করে থানা পুলিশ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পর আদালত মামলাটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের মাধ্যমে বাদী ন্যায় বিচার পাবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে তারাকান্দা থানার ওসি মাহবুবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তারাকান্দা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবুল খায়ের জানান, খেলার অডিটোরিয়ামসহ মালামাল ভাঙচুরের বিষয়টির সঙ্গে ওসি মাহবুবুল হক জড়িত না। তিনি অসুস্থ থাকায় ছুটিতে আছেন বলে জানান।