মোঃ মোতাহার হোসেন সাজু:
সমসাময়িক কালের সবচেয়ে আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। সন্দেহপ্রবন করোনা ভাইরাস এর মৃতদেহ হোক আর করোনা ভাইরাস সংক্রমিত মৃতদেহ একইভাবে দাফন হচ্ছে দেখে অনেক কষ্ট লাগে। করোনা ভাইরাস এর মৃতদেহটি স্বজন/প্রিয়জন এর লোকচক্ষুর অন্তরালে কোন-মতে দাফন হচ্ছে।
যখন দেখি মিডিয়াতে দাফনকৃত ব্যাক্তির পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ ছিলো, তাও দাফনের দু’দিন পর তখন মনে অনেক কষ্ট হয়, কেন দাফনের পূর্বে করোনার ফলাফল দেয়া হলো না, যাতে করে স্বজন/ প্রিয়জনের দাফন কার্যে অংশগ্রহণ বা শেষ দেখার সুযোগ হলো না।
অপরদিকে হাঁচি, কাশি বা জ্বর হলেই সরকারের designated হাসপাতালও রোগী ভর্তি বা টেষ্ট না করে ফেরত দিচ্ছে, এতে করে করোনা আক্রান্ত হোক আর না হোক চিকিৎসা অবহেলায় লোকটি মারা যাচ্ছে। চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যাচ্ছে কিনা সরকারের মনিটরিং এখনই জোরদার করতে হবে।
প্রয়োজনে designated হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা ডাক্তার, নার্স, সেবা নিশ্চিতকরণসহ rotationally মনিটরিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে U.K/ U.S.A তে ডাক্তার, নার্সদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরনের জন্য ২৪ ঘন্টা ডিউটির আওতায় আনা হয়েছে।
জানিনা PPE দেবার পরও কেন আমাদের ডাক্তারদের এতো ভয়, যেখানে আমেরিকাতে ৭৮,০০০ অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার স্বেচ্ছায় ঘোষনা দিয়েছে করোনা চিকিৎসা দেবার জন্য, সেখানে আমরা কোথায়?
দেশের সব সরকারী হাসপাতালে পরীক্ষন কিটস্ দিতে হবে যাতে করে আক্রান্ত হোক বা না হোক তাহা ২ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত হতে পারে। হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা এবং সামাজিক দুরত্বের ইস্যুটি কঠোর হস্তে প্রতিপালনের ব্যবস্থা করলে হয়তো-বা আমরা দ্রুত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাব।
লেখক- সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ও গভর্নিং বডির সদস্য, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল।
(ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহ)