১৭৭৪ খ্রিঃ রাজকীয় সনদের বলে কলিকাতায় সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সনদের ১১ নং অনুচ্ছেদে কলিকাতা সুপ্রিম কোর্টকে অ্যাডভোকেট ও অ্যটর্নীদের সনদ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। আইনজীবী পরীক্ষা পদ্ধতি সেই বৃটিশ আমল থেকেই। ১৮৭৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট প্রথম লিখিত পরীক্ষা নেয়।
The Indian Bar Council Act পাশ হয় ১৯২৬ খ্রিঃ। এই আইনটির মাধ্যমে আইন পেশার এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হয়। বার কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে আইন পেশার সনদ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। বিচারক ও আইনজীবীদের একটি কমিটি বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী আইনজীবী সনদ প্রদান শুরু করে। আইনজীবীদের ভোটে আইনজীবীদের মধ্য থেকে বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনের বিধান রাখা হয়।
১৯৪৭ সনে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলে উভয় রাষ্ট্রই বৃটিশ ভারতের বিচার ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখে। ১৯৬৫ সনে দি লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অ্যান্ড বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের সকল প্রদেশে বার কাউন্সল গঠন করা হয়।
স্বাধীন ভারতে ১৯৬১ সালে advocates Act পাশ হয়। The Advocates Act, 1961 empowers state bar councils to frame their own rules regarding enrollment of advocates. The Council’s enrollment committee may scrutinise a candidate’s application. Those admitted as advocates by any state bar council are eligible to take the All India Bar Examination which is conducted by the Bar Council of India. Passing the All India Bar Examination awards the state-enrolled advocate with a ‘Certificate of Enrolment’ which enables the state-enrolled advocate to practice law as an advocate in any High Court and lower court within the territory of India. However to practise Law before the Supreme Court of India, Advocates must first appear for and qualify in the Supreme Court Advocate on Record Examination conducted by the Supreme Court (Wikipedia).
১৯৭১ সনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর The Legal Practitioners and Bangladesh Bar Council Act 1972, P O No. – 46 of 1972 অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল গঠন করা হয়। বর্তমানে বংলাদেশের আইন পেশাজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদশ বার কাউন্সিল। বাংলাদেশে বার কাউন্সিল গঠন করে আইনজীবীদের আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার আইনজীবীদের নির্বাচিত কাউন্সিলর উপর ন্যাস্ত করা হয়।
বৃটিশ ভারত থেকেই আইনজীবী পরীক্ষা চালু ছিল। সময়ের বিবর্তনে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি MCQ ও ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষা পদ্ধতির প্রচলন হয়। ১৯৬৫ সনে দি লিগ্যাল প্রাকটিশনার অ্যান্ড বার কাউন্সিল অ্যাক্ট ও The Legal Practitioners and Bangladesh Bar Council Act 1972 অনুযায়ী আইনজীবীদের সনদ তথা আত্ম নিয়ন্ত্রেণের অধিকার আইনজীবীদের হাতেই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কতিপয় প্রতিনিধিগণ এর অসততা ও অদক্ষতায় সনদের পরীক্ষায় অনেক অনিয়ম হওয়া শুরু হল এবং যাকে খুশি ইচ্ছেমাফিক আইনজীবী সনদ দেয়া শুরু হলো।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, বার কাউন্সিলের এসব আইনজীবী নেতৃত্ব যখন ধারাবাহিকভাবে আইনজীবী সনদ নিয়ে অসততা প্রদর্শন করলো, ঠিক তখনই The Legal Practitioners and Bangladesh Bar Council Act 1972 এর অনুচ্ছেদ ১১(১) (বি) The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council (Amendment) Act, 2012 (Act No. XLIV of 2012) বাতিল করা হল এবং অনুচ্ছেদ ১১(খ) প্রতিস্থাপন করা হল। ফলশ্রুতিতে নতুন করে আইনজীবী তালিকাভুক্তি কমিটি পুনর্গঠিত হল, যার সদস্য সংখ্যা – ৫ জন।
১ জন- চেয়ারম্যান (আপীলেট ডিভিশন এর বিচারপতি মহোদয়গণ থেকে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নির্ধারিত)
২ জন – সদস্য (হাইকোর্ট ডিভিশন এর বিচারপতি মহোদয়গণ থেকে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নির্ধারিত)
১ জন- সদস্য (এটর্নি জেনারেল)
১ জন- সদস্য (বার কাউন্সিলের সদস্য থেকে)।
২০০৩ এর পূর্বে প্রতি ৬ (ছয়) মাস অন্তর অন্তর বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষা হতে দেখেছি। ২০০৬/০৭ এর দিকে বছরে অন্তত একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম ধাপেই অধঃস্তন আদালতে এক সাথে প্রায় ৪০০ (চার শত) বিচারক নিয়োগ দেয়া হল। এত সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দেয়ায় আমাদের দেশের অভিভাবক তথা ছাত্র-ছাত্রীরা আইন পেশার প্রতি আগ্রহী হতে শুরু করলো। ব্যাঙ্গের ছাতার মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে আইন পড়ানো শুরু হল। কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় টাকার বিনিময়ে জাল সনদ দেয়া শুরু করল। অগত্যা বাধ্য হয়ে আপীল বিভাগের রায়ের আলোকে পরবর্তীতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইন পড়ানো থেকে বিরত রাখা হল। পূর্বে কয়েকটি হাতেগোনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন কলেজ সমূহে আইন পড়ানো হত। বর্তমানে ৬০/৭০ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন পড়ানো হয়।
অনেককে বলতে শুনেছি, পূর্বে আইনের ছাত্র-ছাত্রী কম ছিল, বছরে ১/২ টা এনরোলমেন্ট পরীক্ষা নেয়া সম্ভব ছিল। এখন আইনের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, চাইলেই আগের মত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা! বাংলাদেশ বার কাউন্সিল যদি সময় মতো পরীক্ষাগুলো নিত, তাহলে আজ প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবীশ এর আর্তনাদ শুনতে হত না। কিন্তু আমার বক্তব্য হল, জুডিশিয়ারি কিন্তু প্রতিবছর পরীক্ষা নেয়। যাদের যোগ্যতা আছে, তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও পরীক্ষা দিচ্ছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমস্যা, সেই আলোকে একটা আইন করতে পারে। প্রতিবছর একটা করে হলেও যাতে পরীক্ষা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাদের ০৬ (ছয়) মাস পূর্ণ হবে তারাই পরীক্ষা দিবে। তাতে পেশার মান বাড়বে। জুডিশিয়ারিতে ৭০০০/৮০০০ জন আবেদন করে। এমসিকিউ তে ১২০০/১৩০০ জন পাস করে তাতে খাতা দেখতে সময় লাগেনা। লিখিত পরীক্ষায় ৫০০/৬০০ জন পাস করে। ভাইভাতে ১০০ থেকে ২০০ জন নেয়। বার কাউন্সিল নিয়মিত পরীক্ষা নিলে ১০০০০ বেশি শিক্ষার্থী হবে না। সেখানে ২০০০/২৫০০ জন এম সি কিউ তে পাশ করবে, লিখিত পরীক্ষায় ১০০০ /১২০০ জন, ভাইভায় ৬০০/৭০০ জন টিকবে। কত সুন্দর ভাবেই না করা যায়।
যেহেতু আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পড়েছি, সেহেতু আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র-ছাত্রীদের বাস্তব অবস্থা নিয়ে কিছু লিখতে বসেছি।
আমাদের যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়াশোনা করে তাদের বেশিরভাগই গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এসব গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলে-মেয়েরা সমসাময়িকদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত মেধাবী। পারিবারিক অবস্থার কারণে অনেক ছেলে-মেয়ে আইন পেশায় আসতে চান না। বেশীর ভাগই সরকারি চাকরিতে যোগদান করে। তারপরে কিছু ছেলে মেয়ে আছে আইন পেশায় থাকতে চায়। কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো যদি বার কাউন্সিল ঠিক মতো পরীক্ষা না নেয় তাহলে তাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। প্রতি বছর যেখানে দুইবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা; সেখানে ২০১৫ সালের পরে মাত্র ১ বার পরীক্ষা হয়েছে।
যেমন ২০১৫-২০ এ সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইহার ৩৬-৪২ ব্যাচ অনার্স পাশ করে বেরিয়েছে। যারা এলএলবি শেষ করেছে ২০১৫ সালে, সে হিসাব মতে নিয়মিত পরীক্ষা হলে ১০ টি না হউক ৫টি বার অন্তত বার কাউন্সিল পরীক্ষা পাওয়ার কথা। যেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সেশন বিলম্ব ছাড়াই অনার্স শেষ করলো সেখানে বার কাউন্সিল তাদের আটকিয়ে রাখলো। দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্ররা কিন্তু আইন পেশায় আসে না, তবুও যারা আসে যথেষ্ট ত্যাগ ও তিতিক্ষার মধ্য দিয়েই আসে। অনিশ্চিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার কারনে তাদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় হারাচ্ছে। যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এখনো সনদ পেয়ে ওকালতি শুরুর অপেক্ষায়, সেখানে তাদেরই বন্ধু-বান্ধবী এডমিন ক্যাডার, জুডিশিয়াল অফিসার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
স্মর্তব্য যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ব্যাচে ভর্তি হয় ১৩০ জন, তাও সব ব্যাচে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত অনুযায়ী ১৩০ ও সুযোগ পায় না। বাংলায় ১৬, ইংরেজিতে ১৮ পেয়েই আইন বিষয় নিয়ে পড়তে হয়। ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমদিকের ছাত্র-ছাত্রীরাই শুধু আইন বিভাগে ভর্তির সু্যোগ পায়। প্রতি ব্যাচ থেকে গড়ে জুডিশিয়ারিতে ৬০+, বিসিএস ৫/৬ জন, ১ম শ্রেণীর নন ক্যাডারে ৫/৬, টিচিং এ ১২/১৫, সরকারি ব্যাংকে ১৫/২০, বিভিন্ন কোম্পানির লিগ্যাল বিভাগে ১০/১২ জন করে কাজের সু্যোগ হয়। বাকি ১০/১২ জন আইন পেশায় আসতে চায়।
সব মিলিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০০/১৫০০ শিক্ষার্থী প্রতি বছর বের হয়। সেখান থেকে ১৫০/২০০ হয়তো আইন পেশায় থাকতে চায়। কিন্তু বার কাউন্সিলের অনিয়মিত পরীক্ষা তাদেরকে হতাশার ফেলে দিচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন ৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে। নিয়মিত পরীক্ষা না হলে সামনে যাদের অনার্স শেষ হবে তারাও বিপাকে পড়বে। সমাজ ও পরিবার সবকিছুতেই তারা এখন পিছিয়ে যাচ্ছে। শুধু যে ওকালতি করার জন্যই সনদ দরকার তা নয়, বিভিন্ন কোম্পানির ল’ অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রেও আইনজীবী সনদ লাগে, এমনকি জুডিশিয়ারির ক্ষেত্রেও সনদের প্রাধান্য আছে।
এখন দেশের যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে আগামী বছরেও বার কাউন্সিল তার নির্ধারিত পরীক্ষা শেষ করতে পারবে না। সব কিছু ঠিক হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে তারপর এইচএসসি পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, সরকারি নানা পরীক্ষার রুটিন এখনো অনিশ্চিত। এসব শেষ হলেও বার কাউন্সিলের পরীক্ষা হবে কিনা সন্দেহ। তার মধ্যে বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। নেতারা আবার নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামবে। তাহলে আইন গ্রাজুয়েটদের দেখার কি কেউ নেই? আপনারা যারা অনাগত দিনে বার কাউন্সিল নিয়ে ভাবেন তারা কিছু পরামর্শ দিয়ে তরুণ আইনের ছাত্রদের জন্য কিছু করেন। তারা মানসিক, সামাজিক এবং সবচেয়ে বেশী অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এসব অপেক্ষাকৃত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা আইন পেশা থেকে বিমুখ হয়ে পড়লে আইন পেশায় ভবিষ্যতে মেধা সংকট দেখা দিবে। মেধাবীরা আসছেনা বলেই আজ এক চিঠিতে ১৫/১৬ টা বানান ভুল চোখে পড়ে। আমাদের এই মহান পেশায় অধিকতর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর ও প্রয়োজন আছে। সারা দুনিয়ার সব পেশায় অপেক্ষাকৃত মেধাবীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। আইন পেশায় এসব মেধাবীরা না আসলে, ভবিষ্যতে আইন নিয়ে রিসার্চ করার লোক ও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হওয়ায় আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লেখলাম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অন্য আরেকদিন লিখবো ইনশাআল্লাহ্।
সর্বোপরি, ইদানিং শিক্ষানবীশ বন্ধুগণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ০৬ দফা দাবী পেশ করেছেন। ৬ দফা দাবী সমূহ :-
(১) প্রতিবছর দুইবার শুধুমাত্র ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে আইনজীবী সনদ চাই।
(২) শিক্ষানবিশ ও নবীন আইনজীবীদের দেশের প্রতিটি এডভোকেট বার এসোসিয়েশনে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চাই।
(৩) শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের উৎসব ভাতা চাই।
(৪) পরীক্ষার খাতা রিভিউ এর ব্যবস্থা থাকা চাই।
(৫) করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের যারা এম সি কিউ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের ইনটিমেশন ফরম পুরনের মেয়াদের আলোকে সকলের ভাইবা নিয়ে সনদ চাই।
(৬) আইনজীবী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের অধিকার সুরক্ষা আইন চাই।
তাছাড়াও মহামারী করোনায় নতুন সংযোজিত হয়েছে যারা শুধু MCQ পাশ করেছে, তারা চায় গেজেট করে আইনজীবী তালিকাভুক্ত করা হউক। আবার একাংশ চায় মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে হলেও তালিকা ভুক্ত করা হোক। আর যারা MCQ পাশ করে নি তাদের একাংশ চায় কোন পরীক্ষার দরকার নাই ৬ মাস শিক্ষানবিশ কাল শেষ হলেই গেজেট ভুক্ত করে নিতে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে শিক্ষানবিশদের সঠিক পথ দেখাবেন বলে আমি আশা করছি। যদিও শিক্ষানবিশদের বেশিরভাগ দাবী অগ্রহণযোগ্য, তদুপরি ২/৩ টি দাবি খুবই যৌক্তিক।
এসব শিক্ষানবিশ (আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষানবিশ আইনজীবী বলতে অপারগ) অনেকের সাথে কথা বলেছি। আমার সাথেও কিছু শিক্ষানবিশ কাজ করে। তাদের অভিজ্ঞতায় শুনলাম, তারা দাবি দাওয়া নিয়ে বার কাউন্সিলে গেলে বার কাউন্সিলের সদস্যরা বলে যে, এনরোলমেন্ট কমিটির দায়িত্ব বিচারপতি/এটর্নি জেনারেল স্যারদের হাতে, উনাদের হাতে কিছু নাই। এনরোলমেন্ট কমিটির কাজ হচ্ছে প্রশ্নপত্র করা, খাতা দেখা ও ভাইভা নেয়া। অফিসিয়াল কাজ তো নির্বাচিত প্রতিনিধির করার কথা।
এ অবস্থায় আইনের ছাত্রদের গন্তব্য কোন পথে?
মোঃ জিশান মাহমুদ: আইনজীবী, সু্প্রিম কোর্ট; সদস্য সচিব, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইনজীবী সমিতি; সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আইন সমিতি।