ভোলার চরফ্যাশন আদালতে মামলার নথি চাওয়াকে কেন্দ্র করে আইনজীবী হারুন আর রশীদ ফরাজিকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে আদালতকক্ষে এই ঘটনা ঘটে। আইনজীবী হারুনকে আহত অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আদালত ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একটি হত্যা মামলার নথির ফটোকপি আনতে আইনজীবী সহকারী ইউসুফ আলীকে চরফ্যাশনের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে পাঠান অ্যাডভোকেট হারুন আর রশীদ ফরাজি। এ সময় পেশকার কমল দে ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হুমায়ূন তাঁর কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাঁদের ২০০ টাকা দিলে তা গ্রহণ না করে নথি দিতে অস্বীকৃতি জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পরে আইনজীবী হারুন আদালতের নেজারত ও নকল বিভাগে গিয়ে মামলার নথির ফটোকপি কেন দেওয়া হয়নি—তা জানতে চান। এ সময় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ, পেশকার কমল, ফেরদাউস ও কর্মচারী হুমায়ূন মিলে আইনজীবী হারুনকে আদালতকক্ষে আটকে রেখে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোনসেট ভাঙচুর করাসহ মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত আইনজীবী হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমি ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর ন্যক্কারজনক এই হামলা চালিয়েছেন।’
সেরেস্তদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নথি নিয়ে আইনজীবী হারুনের সঙ্গে পেশকার কমল ও পিয়ন হুমায়ূনের হাতাহাতি হয়েছে। অভিযুক্ত পেশকার কমল দে বলেন, ‘ওই আইনজীবীই উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।’
এ বিষয়ে চরফ্যাশন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, আইনজীবী হারুনকে আদালতকক্ষে মারধর করার বিষয়টি দুঃখজনক। চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সরমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সূত্র- কালের কণ্ঠ