সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার একজন নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভারতের বিহারের আরারিয়া জেলা আদালতের বিচারক। ২২ বছর বয়সী ওই নারী আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত দেন বিচারক। এ কাজে ওই তরুণীকে সহায়তার জন্য দু’জন সমাজকর্মীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, যখন ওই নারীর ধর্ষণ মামলার জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। এছাড়া অন্তত একজন মানবাধিকারকর্মী তার জবানবন্দি দেখার পর তাতে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নেন তিনি। এ কারণে বিচারক রেগে যান।
এর আগে গত ৭ জুলাই ওই নারী অভিযোগ করেন, ৬ জুলাই গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর ১০ জুলাই তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়।
জবানবন্দি দেওয়ার জন্য দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ভুক্তভোগী। জবানবন্দি শেষে কাগজে স্বাক্ষর করার কথা বলেন বিচারক। তখন ওই নারী বলেন, অ্যাক্টিভিস্টদের অন্তত একজন কাগজটি না পড়ে দেখা পর্যন্ত তিনি স্বাক্ষর করবেন না।
ভুক্তভোগী নারীর উচ্চ কণ্ঠস্বর শুনে রেগে যান বিচারক। এরপর দু’জন অ্যাক্টিভিস্টসহ ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ