আবরার ইয়াসির: ১৯৯০ এর দশকে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম Good Governance বা সুশাসন ধারণাটির উদ্ভব ঘটায়। পরবর্তীতে, জাতিসংঘ সুশাসন এর সংজ্ঞায় ৮ টি সুনির্দিষ্ট উপাদান যোগ করে যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ হল স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন। আর এই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্র বা Welfare State এর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে সারাবিশ্বে বিবেচিত হয়। উল্লেখ্য যে, কল্যাণকামী রাষ্ট্র-ধারণাটির উদ্ভব ঘটান মৌর্য রাজবংশের মহান শাসক সম্রাট অশোক (খ্রিস্টপূর্ব ৩০৪-২৩২ অব্দ) খ্রিষ্টপূর্ব ২৬০ অব্দে কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করার পর। মধ্যযুগে, মুসলিম মহামানব ও শাসক হযরত মহানবী (স.) (৫৭০-৬৩২), তাঁর মৃত্যু পরবর্তী রাশিদুন খিলাফতের চার মহান খলিফা এবং আব্বাসীয় রাজবংশের শ্রেষ্ঠ শাসক খলিফা হারুন-অর-রশীদ (৭৬৬-৮০৯) কল্যাণকামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হন। আধুনিক যুগে সর্বপ্রথম ১৯৪২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে Welfare State কথাটির প্রচলন করেন উইলিয়াম টেম্পল (১৮৮১-১৯৪৪) নামক এক ব্রিটিশ ধর্মযাজক তাঁর ‘Christianity and the Social Order’ শীর্ষক বইয়ে যা আবার ধার করা হয়েছিল ১৮৪৫ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিজরেইলি (১৮০৪-১৮৮১) কর্তৃক রচিত Sybil: or the Two Nations গ্রন্থ থেকে যেখানে বেঞ্জামিন ডিজরেইলি কল্যাণকামী রাষ্ট্র বা Welfare State এই কথাটির প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়ে যান। ফরাসি বিপ্লব পরবর্তী বিশ্বে সর্বপ্রথম জার্মান লৌহমানব অটো ভন বিসমার্ক (১৮১৫-১৮৯৮) কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মোটামুটি সফল হয়েছিলেন। তবে আদিম যুগ থেকে উনবিংশ শতাব্দীর অটো ভন বিসমার্কের শাসনামল বা বিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক মহামন্দা তথা Great Depression এর সময়ে ক্ষমতায় আসা ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট (১৮৮২-১৯৪৫) এর শাসনামল পর্যন্ত কল্যাণকামী রাষ্ট্রের মূল কার্যের মধ্যে শুধুমাত্র দারিদ্র্য ভাতা, বার্ধক্যজনিত ভাতা, দুর্যোগ ভাতা, খাদ্য সহায়তা প্রভৃতি আর্থিক সুবিধা সংক্রান্ত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত হত। অর্থনৈতিক অধিকারের পাশাপাশি নাগরিক বা রাজনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণের ধারণা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত সেইভাবে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে সমাদৃত হয়নি। সর্বপ্রথম ১৯৫০ সালে ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী টমাস হামফ্রে মার্শাল (১৮৯৩-১৯৮১) তাঁর ‘Citizenship and Social Class’ শীর্ষক বইয়ে কল্যাণকামী রাষ্ট্রের কার্যের মধ্যে অর্থনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সমানভাবে সুনিশ্চিতকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রতি জোরারোপ করেন এবং তাঁর এই দাবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়। তাই বর্তমানে একটি প্রকৃত কল্যাণকামী রাষ্ট্রের কার্য শুধু অর্থনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা সমভাবে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণ তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাঝেও বিস্তৃতি লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় Good Governance এবং Welfare State এর উদ্দেশ্য সফল করার মানসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর (১৯৪৩-বর্তমান) এবং তাঁর মন্ত্রিসভা ১৯৯১ সালে প্রতিটি সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে নাগরিক সনদ বা Citizen’s Charter প্রণয়নের ব্যবস্থা করেন যা তৎকালীন বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও নাগরিক সনদ প্রণয়নের হিঁড়িক পড়ে যায়। নাগরিক সনদের মূল লক্ষ্য হল সাধারণ জনগণকে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও তাদের প্রদেয় সেবাসমূহ সংক্ষেপে অবহিত করা। তবে এই নাগরিক সনদ বা Citizen’s Charter এর নৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর আইনী বাধ্যবাধকতা নেই বললেই চলে। তাই সুশাসন ও কল্যাণকামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সুমহান ধারণা আরো সমুজ্জ্বল করতে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসমূহ তাদের আইনী ব্যবস্থায় Right of Citizens to Time Bound Delivery of Government Services Act প্রণয়ন করেছে। ভারতে ফেডারেল শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে মূলত প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, সশস্ত্র বাহিনী, রেলওয়ে, বিমান পরিবহন ব্যবস্থা প্রভৃতি ক্ষমতাই প্রধানত ন্যস্ত থাকে। অন্যদিকে, জনকল্যাণমূলক অনেক সেবা রাজ্য/প্রাদেশিক সরকারের নিকট অর্পিত হতে দেখা যায়। এজন্যই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা Right of Citizens to Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইন ভিন্ন ভিন্ন নামে তাদের রাজ্যের জন্য প্রণয়ন করেছে।
Time Bound Delivery of Government Services বলতে কি বুঝায়?
Time Bound Delivery of Government Services বলতে সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরকারি সেবা জনগণকে নিশ্চিত করার বিধানকে বুঝানো হয়। ভারতের প্রদেশসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম ২০১০ সালে মধ্য প্রদেশের বিধানসভা Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইন তাদের রাজ্যে প্রণয়ন করে। বর্তমানে ভারতের ১৯ টি অঙ্গরাজ্য এবং ১ টি ইউনিয়ন টেরিটরিতে Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইন ভিন্ন ভিন্ন নামে কার্যকর আছে। উল্লেখ্য যে, সকল সরকারি সেবা এই আইনসমূহের অন্তর্ভুক্ত না। বিভিন্ন প্রদেশের এই সংক্রান্ত আইনসমূহের তফসিলে শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট কিছু সরকারি সেবা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কোন কোন সেবা এই আইনসমূহের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হবে তা এক প্রদেশ অপেক্ষা অন্য প্রদেশে কিছুটা ভিন্ন হয়। যেমন, মধ্য প্রদেশ সরকার ৫২ টি সেবা তাদের আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে অন্যদিকে ইউনিয়ন টেরিটরির আওতাধীন দিল্লী সরকার ১১৬ টি সেবা তাদের আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তবে সেবা সমূহের মধ্যে নামজারি খতিয়ান প্রস্তুতকরণ, ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ, বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ প্রদান, গ্যাসের লাইনের সংযোগ প্রদান, রেশন কার্ড বিতরণ, জম্ম সনদ বিতরণ, বিবাহ সনদ বিতরণ,পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট প্রদান, জমির রেকর্ডের কাগজপত্র উত্তোলন প্রভৃতি সেবাসমূহ প্রায় প্রতিটি প্রদেশের আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং উক্ত সেবাসমূহ প্রদানের সুনির্দিষ্ট সময়সীমাও ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে প্রদেশভেদে এই সময়সীমার তারতম্য দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু প্রদেশের আইনে যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়া উপরোক্ত সেবাসমূহ প্রদানের ব্যর্থতার দরুণ ঐ সরকারি কর্মচারীকে ৫০০ থেকে ৫০০০ রুপি পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান করা হয়েছে। আবার, কিছু কিছু প্রদেশের আইনে সেবা প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হবার পরে প্রতিদিনের বিলম্বের জন্য নির্দিষ্ট হারে জরিমানা করার বিধানও পরিলক্ষিত হয়। এর পাশাপাশি বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার বিধানও আছে। উপরোক্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নে এসব প্রাদেশিক সরকারসমূহ তাদের নিজস্ব Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইনগুলোতে First Appellate Authority এবং Second Appellate Authority নামক পদের সৃষ্টি করেছে। এই আইনসমূহে Designated Officer/Competent Officer নামক আরেকটা পদের উল্লেখ আছে। Designated Officer/Competent Officer বলতে মূলত যে কর্মচারী সেবা প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন তাকে বুঝানো হয়েছে। উপযুক্ত কারণ ব্যতীত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে Designated Officer তার সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সেবা প্রাপ্তির আবেদন Designated Officer কর্তৃক নামঞ্জুর হলে প্রতিকার হিসেবে First Appellate Authority এর নিকট যাওয়া যায় এবং First Appellate Authority এর লিখিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে Second Appellate Authority এর নিকট আপীল করা যায়। উল্লেখ্য যে, First Appellate Authority বা Second Appellate Authority একটি দেওয়ানী আদালত যেরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে ঠিক সেরূপ ক্ষমতা তাদের বরাবর ন্যস্ত আছে। First Appellate Authority এবং Second Appellate Authority হিসেবে কারা কারা কাজ করবেন তা রাজ্য সরকারগুলি গেজেট আকারে প্রকাশ করে থাকে। Good Governance বা সুশাসন নিশ্চিতকরণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসমূহের এহেন পদক্ষেপ নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। এখন সময় এসেছে আমাদের বাংলাদেশেও তদ্রুপ একটি কার্যকরী আইন প্রণয়নের।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নাগরিক সনদ বা Citizen’s Charter এর অস্তিত্ব আছে। কিন্তু,মনে রাখা প্রয়োজন, Citizen’s Charter এর আইনী বাধ্যবাধকতা নেই। পাশাপাশি, আমাদের দেশের আইনসমূহে অনেক সরকারি সেবা প্রদানের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। যেমন, উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, অতি সম্প্রতি প্রণীত সরকারি কর্মচারী আইন,২০১৮ এর ২৫ ধারায় বলা আছে অন্য কোন বিধিবদ্ধ আইন ও সরকারি আদেশে উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অথবা সময় নির্ধারিত না থাকলে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত কারণ ব্যতীত সরকারি সেবা প্রদানে ব্যর্থতা থাকলে তা দায়ী কর্মচারীর অদক্ষতা বা অসদাচারণ বলে গণ্য হবে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায়, সরকারি কর্মচারীদের অসদাচারণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিসীমা এদেশে সচরাচর show cause notice প্রদান ও মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়ার মাঝে সীমিত থাকে। কার্যকরী কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। যেমন, নতুন প্রণীত এই সরকারী কর্মচারী আইন, ২০১৮ মোতাবেক ঐ কর্মচারীর বিরুদ্ধে Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইনগুলির ন্যায় কার্যকরী আর্থিক অর্থদন্ডমূলক শাস্তি আরোপের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ২৫ ধারায় ঢালাওভাবে সকল সরকারি সেবার কথা বলা আছে, ভারতের প্রদেশসমূহের Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইনের মতো সুনির্দিষ্ট কোন তালিকা প্রদান করা হয়নি। এই কারণে ২৫ ধারা মোতাবেক কোন কোন সরকারি সেবার ক্ষেত্রে অধিক তৎপরতা প্রয়োজন তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। অধিকন্তু, ২৫ ধারায় বলা হয়েছে কোন সেবা প্রদানের সময় নির্ধারিত না থাকলে তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে। আমাদের দেশে যেখানে সরকারি সেবার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠে সেখানে আসলে যৌক্তিক সময় যে কতটুকু সেটি নিয়েও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনার প্রয়োজন আছে। তাই এটি অনস্বীকার্য যে,সুশাসন ও কল্যাণকামী রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত পূরণ করতে Time Bound Delivery of Government Services Act এর কোন বিকল্প নেই। অধিকন্তু, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা Sustainable Development Goals, 2015 এর Goal 16 তে Peace, Justice and Strong Institutions প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর স্বচ্ছ,জবাবদিহিতামূলক এবং শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় বর্তমান যুগে Time Bound Delivery of Government Services Act এর অপরিহার্যতা নিয়ে দ্বিমত করার সুযোগ নেই।
তবে বাংলাদেশে Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের পূর্বে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ও দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা আগে প্রয়োজন। পাশাপাশি,প্রতিটি সরকারি অফিসে E-Governance সেবার আরো কার্যকরী মানোন্নয়ন প্রয়োজন। তবে, সবচেয়ে জরুরী ব্যাপার হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদে যে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠার কথা বলা আছে তা কার্যকরীভাবে প্রতিষ্ঠা করা এবং এ সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের দুর্বল ন্যায়পাল আইন বাতিল করে যুগোপযোগী একটি ন্যায়পাল আইন প্রণয়ন করা। অত:পর, সরকারি সেবা সঠিক সময়ে জনগণের নিকট প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল ও তার অধস্তন কর্মচারীদের কাজে লাগাতে হবে।
পরিশেষে, এটা বলা প্রয়োজন, কল্যাণকামী রাষ্ট্র ও সুশাসনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার তাগিদে শুধু Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইন করলেই চলবে না, সে আইনের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। ভারতে Time Bound Delivery of Government Services সংক্রান্ত আইন শুধু জনসচেতনার অভাবে এখনো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তাই এই আইন পাশের পরে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুশীল সমাজের ইতিবাচক তৎপরতা সবচেয়ে বেশী কাম্য।
আবরার ইয়াসির: প্রভাষক; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। E-mail: Abraryasir101@gmail.com