সদ্য প্রয়াত দেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কুলখানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মরহুমের বেইলীরোড বাস ভবনে কুলখানী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও বিচারক কুলখানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল শরীরে জ্বর অনুভব করেন। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল- সিএমএইচে ভর্তি হন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে ২০ সেপ্টেম্বর তার করোনামুক্তি ঘটার কথা জানায় পরিবার।
সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।