সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফের সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। পাশাপাশি তাঁর জন্য সমিতির সব আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় রোববার (৮ নভেম্বর) তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শাহ্ আলম।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের সঞ্চালনায় সভায় সমিতির সদস্য অ্যাড. আব্দুল লতিফের (পিপি) বিতর্কিত একাডেমিক সনদপত্র, অসদাচরণ ও সমিতির নিয়ম শৃঙ্খলা অবমাননা করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভা সূত্র জানায়, অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কয়েকজন আইনজীবী জাল একাডেমিক সার্টিফিকেট ব্যবহার এবং অতিরিক্ত পিপি, এপিপি ও এজিপি নিয়োগের নামে অসাধু উপায়ে বিপুল অংকের টাকা গ্রহণের অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতির বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু তিনি নোটিশ প্রাপ্তির পর নোটিশের অবজ্ঞাসহ একাডেমিক সনদ এবং চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে অবজ্ঞা প্রদর্শন করায় নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত আলোচকগণ অ্যাড. আব্দুল লতিফের (পিপি) বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব দেন। সে অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে তার সমিতির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিতসহ সমিতির সব আর্থিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া সর্বসম্মতিক্রমে তার আইনজীবী সনদ বাতিলের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে পাঠানো এবং সভার রেজুলেশনের কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে তাকে নোটিশ করার অভিযোগ এনে অ্যাড. আব্দুল লতিফ রোববার সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে নোটিশের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।