মুসলিম ফরায়েজে সম্পত্তি বণ্টন প্রক্রিয়া, ফরায়েজ যোগ্য সম্পত্তির পরিমাণ, মৃতব্যক্তির সম্পত্তি কার কত অংশ প্রাপ্য, ওয়ারিশের শ্রেণীবিভাগ, আউল ও রাদ নীতি, বিবিধ ফরায়েজ ইত্যাদি বিষয়ে সহজ ভাষায় বিস্তারিত বর্ননা করেছেন অ্যাডভোকেট সাব্বির এ মুকিম। তিন পর্বের এ লেখার দ্বিতীয় পর্বে মুসলিম ফরায়েজে আউল ও রাদ নীতি নিয়ে আলোচনাটি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
আউল ও রাদ এর বিভ্রম
কুমিল্লায় বেশ কিছু পুরোনো পুকুর আছে। ৩টি হলো আদালত পুকুর, নানুয়া দিঘী, ধর্ম সাগর- আকৃতির তুলনামূলক বিবেচনায় ছোটো, মাঝারি ও বড়। ৩টি পুকুরই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভরে যায় আবার গ্রীষ্মকালের কাঠ ফাটা রোদে শুকিয়ে যায়।
ধরা যাক, বর্ষাকালে কোনো ১ দিন ২ সেন্টি মিটার বৃষ্টি ঝরলো। ৩টি পুকুরেই কিন্তু ২ সেন্টিমিটার জল যুক্ত হবে। কিন্তু মাপতে গেলে দেখা যাবে ধর্ম সাগরে হয়তো ১০ হাজার গ্যালন জল যোগ হয়েছে, নানুয়া দিঘীতে ৩ হাজার গ্যালন জল আর আদালত পুকুরে ১ হাজার গ্যালন জল যোগ হয়েছে। কেনো এ তফাৎ– আকৃতিগত কারণে। পরিমাণগতভাবে বড় আকৃতির ধর্ম সাগর তাই জল পায় বেশী আর আদালত পুকুর জল পায় কম।
আবার ধরা যাক গ্রীষ্মকালের কোনো ১দিন, ১০০ লিটার প্রতি স্কয়ার ফুট হারে জল উবে গিয়ে জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়। ৩টি পুকুরেই কিন্তু ১০০ লিটার প্রতি স্কয়ার ফুট হারে জল উবে হবে। কিন্তু মাপতে গেলে দেখা যাবে ধর্মসাগরে হয়তো ১০ হাজার গ্যালন জল উবে গেছে, নানুয়া দিঘীতে ৩ হাজার গ্যালন জল আর আদালত পুকুরে ১ হাজার গ্যালন জল উবে গেছে। এ তফাৎও সেই আকৃতিগতো কারণেই। বড় আকৃতির ধর্ম সাগর তাই জল ছাড়তে হয় বেশী আর ছোটো বলে আদালত পুকুর জল কম ছাড়ে।
ঢাকার চানখাঁরপুলে কাছে- স্বল্প দূরে কম বেশী ৫০ টি শিক্ষার্থী নিবাস রয়েছে, যথা আল্লামা কাশগরী রহঃ হল, ডাঃ ফজলে রাব্বী হল, জেবুন্নেসা হোস্টেল গয়রহ, গয়রহ। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের কাছে চানখাঁরপুলের খাবার হোটেলগুলো খুব জনপ্রিয়। কিছু সময় পর পরই এসব শিক্ষার্থীগণ এসব হোটেলে নিয়ম করে খেতে যান। এসব হল সহ দেশের সবগুলো হলের রুমগুলোতে দেশের ৪ প্রান্তের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য একসাথে বসবাস করে রক্তে সম্পর্কের আত্মীয় না হলেও চীরস্থায়ী আত্মার বাঁধনে আটকে স্বজনে পরিণত হতে দেখা যায়। তাই নিয়মিত একসাথে খেতে গেলে খাবার বিল মাথা পিছু সমান ভাগ হয় না। দেখা যায় রুমের যে বড়জন- টিউশনি বেশী করেন- তিনি বিল এর বড় ভাগ দেন, ছোটো জনেরা কম ভাগ দেন। আবার ছোটো জনেরা যখন বড়জনে পরিণত হন, তখন তাঁরাই আবার বিলের বড় অংশ দেন।
ধরা যাক, ১ দিন কোনো কারণে রুম হতে ঠিক করে যাওয়া বাজেটেরচে খাবার বিল বেশী আসলো। তখন আবার সবাই বাড়তি বিল একসাথে পরিশোধ করেন। এ ক্ষেত্রেও বড়জন বাড়তি বিলের বেশী অংশ আর ছোটো জন বাড়তি বিলের কম অংশ দেন।
কোনো ১দিন যদি আবার বাজেটেরচে কম বিল আসে, তবে বেঁচে যাওয়া বিল হতেও কিন্তু সবাই সমান অংশ ফেরৎ নেন না। যিনি বেশী দেন তিনি বেশী ফেরৎ নেন আর যিনি কম দেন তিনি কম ফেরৎ নেন।
কোনো কোনো বাসায় সকালে নাস্তা হিশেবে খাওয়া রুটির খামির আগের রাতেই করে লেচি আকারে প্রস্তুত করে রাখা হয়। সকালে জাস্ট বেলে তাওয়ায় সেঁকে সার্ভ করা হয়।
ধরা যাক সকলকে ১টি করেই রুটি বরাদ্দ দেয়া। ফলে লেচি বানানোর সময় যে বেশী খায় তার লেচিতে বেশী খামির আর যে কম খায় তার লেচিতে কম খামির দেয়া হয়। ফলে লেচি কোনোটা বড়, কোনোটা মাঝারি, কোনোটা ছোট হয়।
ধরা যাক ১ দিন রাতে লেচি তেরী করে ফেলার পর রাত ১২টার দিকে ১ সদস্য রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে সাজেক চলে গেলেন। সকাল বেলা লেচি ১টি বেশী হলো- সেটাতো আর ফেলে দেয়া যায় না। তখন কী করা হয়? বাড়তি লেচি থেকে একটু একটু করে খামির নিয়ে বাকী লেচিগুলোর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। বাড়তি লেচি হতে খামির নেয়ার সময় বড় লেচির জন্য বেশী খামির নেয়া হয় আর ছোটো লেচির জন্য কম খামির নেয়া হয়।
আবার ধরা যাক ১দিন মর্নিং ওয়াক শেষে পরিবারের কর্তা তাঁর বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাসায় ফিরলেন একসাথে প্রাতঃরাশ সারবেন নিয়্যতে। সকাল বেলা ঘরে আটা আর নেই, দোকানে যাওয়ার মতো ও কেউ ঘুম থেকে তখনো উঠেনি। তখন কী করা হয়? সবগুলো লেচি থেকে একটু একটু নিয়ে নতুন আর ১টি লেচি তৈরী করে মেহমানের জন্য নাস্তা সাজানো হয়। সব লেচি থেকে কিন্তু সমান খামির নেয়া হয় না, বড়োলেচি হতে বেশী এবং ছোটো লেচি হতে কম নেয়া হয়।
ইফতারের সময় ৩টি গ্লাসে শরবৎ ঢালা হয়। ৩ গ্লাসে, গ্লাসে আগে হতেই নির্দিষ্ট পরিমাণ শরবত ঢালার পর ১দিন দেখা গেলো শরবতের জগে আরও কিছু শরবৎ রয়ে গেছে। কী করা হয়, বাড়তি শরবৎ ৩ গ্লাসেই বেটে দেয়া হয়। বাটার সময় বড় গ্লাসে বেশী আর ছোটো গ্লাসে কম।
আরেকদিন শরবৎ ঢালার সময় দেখা গেলো বড় আর মাঝারি গ্লাসে শরবৎ ঢালার পর আর শরবৎ বাকী নেই, সেদিন জগে কম শরবৎ গোলা হয়েছে। এইদিন কী করা হয়? বড়ো গ্লাস হতে একটু আর মাঝারি গ্লাস হতে একটু নিয়ে ছোট গ্লাস সার্ভ করা হয়- তবে আর দিনের চে এদিন ছোটো গ্লাসে একটু কম শরবৎই পড়ে। মানে ৩টি গ্লাসের প্রত্যেকটি হতেই একটু, একটু করে কমানো হলো। তবে কমানোর সময় বড়ো গ্লাস হতে বেশী কমানো হলো আর ছেটো গ্লাস হতে কম কমানো হলো।
সম্পত্তি ভাগের বেলায়ও কম বেশী হতে পারে যখন ভাগশেষভোগী থাকেন না। কারণ অংশ নির্দিষ্ট করা থাকে বলে সম্পত্তির পরিমাণের উপর অংশ পরিবর্তন হয় না বলে এই কম বেশ তৈরী হয়। সহজ উদারণ হলো ধরা যাক সম্পত্তি ভাগীদারদের মধ্যে প্রাপ্য অংশ মোতাবেক ভাগ করার পরে রয়ে যাওয়া ভাগশেষ সম্পত্তি নেবার মতো কোনো ভাগশেষভোগী নেই তখন কী হবে? সে প্রেক্ষিতের সমাধানই হলো আউল-রাদ নীতি।
আউল-রাদ নিয়ে লম্বা বকবকের কৈফিয়ৎ
এতো লম্বা এবং এতো সংখ্যক উদাহরণ দিতে হলো কারণ কেবল মাত্র এটা বোঝাতেই যে আউল-রাদ নীতি মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা কোনো রীতি নয় কিংবা তত্ত্বীয় গণিতের কোনো গভীরতম প্রয়োগ নয়। বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কমন সেন্সকে প্রতিফলিত করেই আউল-রাদ নীতি এসেছে। কমন সেন্স এর আলোকে দেখলে আউল-রাদ নীতি খুবইপরিচিত, প্রচলিত, নিত্য ব্যবহৃত নীতি। আর আউল রাদ প্রক্রিয়াও অতি সরল প্রাথমিক স্তরের গাণিতিক প্রক্রিয়া। সেই গাণিতিক প্রক্রিয়া কে দুর্বোধ্য করে তোলা আসলে আইন চর্চা কে ব্রাক্ষণীকরণ বা আশরাফিয়ানা তথা বর্ণবাদী শ্রেষ্ঠত্ব সৃষ্টি করার চেতন অথবা অচেতন কান্ড মাত্র বলেই অনুভুত হয়। গণিতের শতকরা অধ্যায় নিয়ে ৫ম শ্র্রেণীতে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে যে পাঠ নেয়া হয় তা ভালো করে অনুধাবন করতঃ আত্মস্থ করলেই আউল-রাদ নীতি প্রয়োগে সিদ্ধ হস্ত হওয়া যায়। বিশেষজ্ঞগণ এ তথ্য জানেন না, নাকি জেনেও এ তথ্য গোপন করেন সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে আজ পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি। সমস্যা সমাধান করার সময় এই তথ্যের কিঞ্চিৎ প্রমাণ আশা করি নজর কাড়বে।
গাণিতিক এসব উদাহরণ ক্ষেত্রে আসলে কি ঘটে?
এবার উপরের ৩ উদাহরণের গাণিতিক অনুবাদ কি রকম। জগে ৩ জনের জন্য স্বাভাবিক ভাবে যেটুকু শরবৎ থাকার কথা, জগে শরবতের পরিমাণ তার কম বা বেশী হলে, কম বেশী টুকু ৩টি গ্লাস তথা বড় গ্লাস, মাঝারি গ্লাস ও ছোটো গ্লাস এ ভাগ করে নেয়া হয়। প্রতি গ্লাসই কম বা বেশির ভাগ নেয়ার সময় স্বাভাবিক ভাবে প্রাপ্য অংশের সেই শতকরা ভাগ পায় যে শতকরা ভাগ শরবৎ জগে কম বেশী হয়।
যদি জগে স্বাভাবিকের চে ১০% শরবৎ বেশী হয়, তবে এই ১০% বেশী শরবৎ ভাগ এমনভাবে করে দেয়া হয়, যেনো
(১) বড়ো গ্লাসে স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী শরবৎ পড়ে
(২) মাঝারি গ্লাসে স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী শরবৎ পড়ে
(৩) ছোটো গ্লাসে স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী শরবৎ পড়ে
১০% বেশীর উদাহরণ ১ইভাবে পুকুরের ক্ষেত্রে
(১) বড় পুকুরে স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী পানি পড়ে
(২) মাঝারি পুকুরে স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী পানি পড়ে
(৩) ছোট পুকুরে স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী পানি পড়ে
১০% বেশীর উদাহরণ একইভাবে হোটেলের বিলের ক্ষেত্রে
(১) বড় সিনিয়রদের স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী বিল দিতে হয়
(২) মাঝারি সিনিয়রদের স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী বিল দিতে হয়
(৩) জুনিয়রদের স্বাভাবিকের চে ১০% বেশী বিল দিতে হয়
আবার যদি জগে স্বাভাবিকের চে ১০% শরবৎ কম হয়, তবে এই ১০% কম ভাগ এমনভাবে করে দেয়া হয়, যেনো
(১) বড় গ্লাসে স্বাভাবিকের চে ১০% কম শরবৎ পড়ে
(২) মাঝারি গ্লাসে স্বাভাবিকের চে ১০% কম শরবৎ পড়ে
(৩) ছোট গ্লাসে স্বাভাবিকের চে ১০% কম শরবৎ পড়ে
১০% কমের উদাহরণ একইভাবে পুকুরের ক্ষেত্রে
(১) বড় পুকুরে স্বাভাবিকের চে ১০% পানি কম পড়ে
(২) মাঝারি পুকুরে স্বাভাবিকের চে ১০% কম পানি পড়ে
(৩) ছোট পুকুরে স্বাভাবিকের চে ১০% কম পানি পড়ে
১০% কম এর উদাহরণ একইভাবে হোটেলের বিলের ক্ষেত্রে
(১) বড় সিনিয়রদের স্বাভাবিকের চে ১০% কম বিল দিতে হয়
(২) মাঝারি সিনিয়রদের স্বাভাবিকের চে ১০% কম বিল দিতে হয়
(৩) জুনিয়রদের স্বাভাবিকের চে ১০% কম বিল দিতে হয়
অর্থাৎ কমের ক্ষেত্রে প্রত্যেকে স্বাভাবিক পাওনা হতে শতকরা ততটকুকু ই কম পায়, যতটুকু শতকরা হারে মোট পরিমান স্বাভাবিক পরিমাণ হতে কম হয়। যদি মোট পরিমান স্বাভাবিক পরিমাণের চে ১০% কম হয়, তব্যে প্রত্যেক পাওনাদার স্বাভাবিক পাওনা অংশ হতে ১০% কম পাবে।
আবার বেশির ক্ষেত্রে প্রত্যেকে স্বাভাবিক পাওনা হতে শতকরা ততটুকুই বেশি পায়, যতটুকু শতকরা হারে মোট পরিমাণ স্বাভাবিক পরিমাণ হতে বেশি হয়। যদি মোট পরিমাণ স্বাভাবিক পরিমাণের চে ১০% বেশী হয়, তবে প্রত্যেক পাওনাদার স্বাভাবিক পাওনা অংশ হতে ১০% বেশি পাবে।
শব্দার্থে আউল রাদ নীতি
আউল শব্দের অর্থ বৃদ্ধি আর রাদ শব্দের অর্থ ফেরৎ। আমাদের রীতি-বিপরীত এর বাইনারি ধারণা কাঠমোয় আউল বৃদ্ধি হলে রাদ মানে হ্রাস হবার কথা। কিন্তু ইসলামী বিধানে সম্পত্তির পরিমাণে বন্টনের পর অসমতারক্ষেত্রে আউল রাদ মানে সে বাইনারি মোতাবেক পরস্পর বিপরীত নয়। আউল মানে অংশ তথা হরের মোট পরিমাণ বাড়ানো আর রাদ মানে ভাগ করার পর অবশেষ রয়ে যাওয়া সম্পত্তির বাড়তি পরিমাণ ভাগীদারদের নিকট ফিরিয়ে দেয়া।
আউল-রাদ নীতির শর্ত
আউল -রাদ নীতি প্রয়োগে ৩টাপূর্বশর্ত আছে:-
(১) কেবল মাত্র ভাগীদারদের মধ্যে আউল রাদ হবে।
(২) ভাগশেষভোগীর অস্তিত্ব আছে মানেই আউল রাদ নীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়।
(৩) (ক) কেবল যেসব ক্ষেত্রে একাধিক মেয়ে ওয়ারিশ হয় বা একাধিক ছেলের-মেয়ে ওয়ারিশ হয় বা একাধিক আপন সহোদর বোন ওয়ারিশ হয় বা একাধিক বৈমাত্রেয় বোন ওয়ারিশ হয় কেবল মাত্র সেসকল ক্ষেত্রের কোনোও কোনোও টিতে আউল নীতি প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে আর অন্য কোনো ও ক্ষেত্রে কখনোই নয়।
৩ (খ) (১) স্বামী ও স্ত্রী ভাগীদার ওয়ারিশ হলেও বাড়তি সম্পত্তির ক্ষেত্রে রাদ নীতি প্রয়োগের সময় স্বামী বা স্ত্রী বাড়তি সম্পত্তির অংশ রাদ মোতাবেক পায় না।
৩ (খ) (২) স্বামী বা স্ত্রী ওয়ারিশ হয়ে বাড়তি সম্পত্তির ক্ষেত্রে রাদ নীতি তে কিছু না পেলেও যদি দেখা যায় স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া মৃত ব্যাক্তির ওয়ারিশের ৩ শ্রেণী তথা- ভাগীদার শ্রেণী, ভাগশেষ শ্রেণী ও দুঃসম্পর্কের আত্মীয় শ্রেণী কোনোও শ্রেণীতেই কোনো ওয়ারিশ নাই তবে কেবল মাত্র সেই বিরলতম ব্যাতিক্রমী ক্ষেত্রেই বাড়তি সম্পত্তিটুকু রাদ নীতিতে স্বামী বা স্ত্রীর নিকট ফেরৎ যাবে।
তার মানে হলো স্বামী বা স্ত্রী কখনো কোনোভাবেই ভাগশেষে শ্রেণীতে পড়বে না। তাদের কে যদি কখনোও অংশের বাড়তি দেয়া হয় তবে তা ভাগশেষভোগী হিশাবে নয় বরং রাদ নীতির কারণে দেয়া হয়।
গাণিতিক নিয়মে আউল
যখন অংশ বেশি, সম্পত্তি কম তখন আউল নীতি প্রয়োগ হয়। কোনো ভাগীদার স্বাবাবিকভাবে যে অংশ পােওয়ার কথা, আউল নীতি সে তার স্বাভাবিক অংশ হতে ঠিক শতকরা ততটুকু কম পায় যতটুকু শতকরা হারে মোট সম্পদের পরিমাণ কম হয়।
আউল নীতি প্রয়োগের ১ নং উদাহরণ; ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ৪২ শতক ভূমি এবং স্বামী ও ২ আপন সহোদর বোন রেখে গেছেন। স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ২১ শতক। ২ আপন সহোদরের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ২৮ শতক। স্বাভাবিক পাওনা হিসেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ৪৯ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ৪২ শতক। ৪৯ আর ৪২ এ তফাৎ হলো ৭। ৭ মোট স্বাবাবিক পরিমান ৪৯ এর ১৪.৩%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমাণের চে ১৪. ৩% কম।
আউল নীতি প্রয়োগে স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ২১ শতক ১৪.৩% হলো ৩ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২১ শতক হতে ৩ শতক কমে স্বামীর প্রকৃত পাওনা হবে ১৮ শতক। ২ আপন সহোদরের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ২৮ শতক ১৪.৩% হলো ৪ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২৮ শতক হতে ৪ শতক কমে ২আপন সহোদর বোনের প্রকৃত পাওনা হবে ১৮ শতক।
আউল নীতি প্রয়োগের ২নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ২৪ শতক ভূমি এবং স্বামী, মা ও ২ আপন সহোদর বোন রেখে গেছেন। স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ১২ শতক। ২ আপন সহোদরের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ১৬ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৪ শতক। স্বাভাবিক পাওনা হিশেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ৩২ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ২৪ শতক। ২৪ আর ৩২ এ তফাৎ হলো ৮। ১০ মোট স্বাভাবিক পরিমান ৩২ এর ২৫%। তার মানে প্রকৃত পরিমাণ মোট পরিমাণের চে ২৫% কম।
আউল নীতি প্রয়োগে স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ১২ শতক এর ২৫ % হলো ৩ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ১২ শতক হতে ৩ শতক কমে স্বামীর প্রকৃত পাওনা হবে ৯ শতক। ২ আপন সহোদরের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ১৬ শতক এর২৫% হলো ৪ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ১৬ শতক হতে ৪ শতক কমে ২আপন সহোদর বোনের প্রকৃত পাওনা হবে ১৩ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৪ শতক এর ২৫ % হলো ১ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৪ শতক হতে ৩ শতক কমে মা এর প্রকৃত পাওনা হবে ৩ শতক।
আউল নীতি প্রয়োগের ৩ নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ১৫৬ শতক ভূমি এবং স্বামী, মা, ১ মেয়ে এবং ১ ছেলের ঘরের মেয়ে রেখে গেছেন। স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ২৫% তথা ৩৯ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ২৬ শতক। ১ মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৭৮ শতক। ১ ছেলের-মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ২৬ শতক।
স্বাভাবিক পাওনা হিসেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ১৬৯ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ১৫৬ শতক। ১৫৬ আর ১৬৯ এ তফাৎ হলো ১৩। ১৩ মোট স্বাভাবিক পরিমান ১৬৯ এর ৭.৭%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমানের চে ৭.৭% কম।
আউল নীতি প্রয়োগে স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৩৯ শতক এর ৭.৭ % হলো ৩ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৩৯ শতক হতে ৩ শতক কমে স্বামীর প্রকৃত পাওনা হবে ৩৬ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ২৬ শতক এর ৭.৭ % হলো ২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২৬ শতক হতে ২ শতক কমে মা এর প্রকৃত পাওনা হবে ২৪ শতক। মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৭৮ শতক এর ৭.৭ % হলো ৬ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৭৮ শতক হতে ৬ শতক কমে মেয়ের প্রকৃত পাওনা হবে ৭২ শতক। ছেলের-মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ২৬ শতক এর ৭.৭ % হলো ২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২৬ শতক হতে ২ শতক কমে ছেলের মেয়ের প্রকৃত পাওনা হবে ২৪ শতক।
আউল নীতি প্রয়োগের ৪নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যাক্তি ৩৬০ শতক ভূমি এবং স্বামী, বাবা, মা এবং ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ২৫% তথা ৯০ শতক। বাবা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৬০ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৬০ শতক। ৩ মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ২৪০ শতক। স্বাভাবিক পাওনা হিশেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ৪৫০ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ৩৬০ শতক। ৪৫০ আর ৩৬০ এ তফাৎ হলো ৯০। ৯০ মোট স্বাভাবিক পরিমান ৪৫০ এর ২০%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমানের চে ২০ % কম।
আউল নীতি প্রয়োগে স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ২৫% তথা ৯০ শতক এর ২০% হলো ১৮ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৯০ শতক হতে ১৮ শতক কমে স্বামীর প্রকৃত পাওনা হবে ৭২ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৬০ শতক এর ২০ % হলো ১২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৬০ শতক হতে ১২ শতক কমে মা এর প্রকৃত পাওনা হবে ৪৮ শতক। বাবা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৬০ শতক এর ২০ % হলো ১২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৬০ শতক হতে ১২ শতক কমে বাবা এর প্রকৃত পাওনা হবে ৪৮ শতক। ৩ মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ২৪০ শতক এর ২০ % হলো ৪৮ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২৪০ শতক হতে ৪৮ শতক কমে ৩ মেয়ের এর প্রকৃত পাওনা হবে ১৯২ শতক।
গাণিতিক নিয়মে রাদ
যখন অংশ কম, সম্পত্তি বেশী তখন রাদ নীতি প্রয়োগ হয়। কোনো ভাগীদার স্বাভাবিকভাবে যে অংশ পাওয়ার কথা, রাদ নীতিতে সে ভাগীদার তার স্বাভাবিক অংশ হতে ঠিক শতকরা ততটুকু বেশী পায় যতটকু শতকরা হারে মোট সম্পদের পরিমান বেশী হয়।
রাদ নীতি প্রয়োগের ১ নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ৬০ শতক ভূমি এবং মা, ১ মেয়ে এবং ১ ছেলের ঘরের মেয়ে রেখে গেছেন। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ১০ শতক। ১ মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৩০ শতক। ১ ছেলের-মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ১০ শতক। স্বাভাবিক পাওনা হিশেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ৫০ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ৬০ শতক। ৬০ আর ৫০ এ তফাৎ হলো ১০। ১০ মোট স্বাভাবিক পরিমান ৫০ এর ২০%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমানের চে ২০% বেশী।
রাদ নীতি প্রয়োগে মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ১০ শতক এর ২০ % হলো ২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ১০ শতক হতে ২ শতক বেড়ে মা এর প্রকৃত পাওনা হবে ১২ শতক। মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৩০ শতক এর ২০ % হলো ৬ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৩০ শতক হতে ৬ শতক বেড়ে মেয়ের প্রকৃত পাওনা হবে ৩৬ শতক। ছেলের-মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ১০ শতক এর ২০ % হলো ২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ১০ শতক হতে ২ শতক বেড়ে ছেলের মেয়ের প্রকৃত পাওনা হবে ১২ শতক।
রাদ নীতি প্রয়োগের ২ নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ৩০ শতক ভূমি এবং দাদী ও নানী এবং ২ মেয়ে রেখে গেছেন। দাদী ও নানীর একত্রে স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৫ শতক। ২ মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ২০ শতক। স্বাভাবিক পাওনা হিশেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ২৫ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ৩০ শতক। ৩০ আর ২৫ এ তফাৎ হলো ৫। ৫ মোট স্বাভাবিক পরিমান ২৫ এর ২০%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমানের চে ২০% বেশী।
রাদ নীতি প্রয়োগে দাদী ও নানীর একত্রে স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ৫ শতক এর ২০ % হলো ১ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ৫ শতক হতে ১ শতক বেড়ে দাদী ও নানীর একত্রে প্রকৃত পাওনা হবে ৬ শতক। ২ মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৬৬.৬৭% তথা ২০ শতক এর ২০ % হলো ৪ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২০ শতক হতে ৪ শতক বেড়ে মেয়ের প্রকৃত পাওনা হবে ২৪ শতক। ছেলের-মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ১০ শতক এর ২০ % হলো ২ শতক। তাই স্বাভাবিক পাওনা ১০ শতক হতে ২ শতক বেড়ে ছেলের মেয়ের প্রকৃত পাওনা হবে ১২ শতক।
রাদ নীতি প্রয়োগের ৩নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ১৮ শতক ভূমি এবং স্বামী ও মা রেখে গেছেন। স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৯ শতক। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ৩৩.৩৪% তথা ৬ শতক। স্বাভাবিক পাওনা হিশেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ ১৫ শতক। কিন্তু সম্পত্তি আছে ১৮ শতক। ১৮ আর ১৫ এ তফাৎ হলো ৩। ৩ মোট স্বাভাবিক পরিমান ১৫ এর ২০%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমানের চে ১৬.৬৭% বেশী।
রাদ নীতি প্রয়োগে স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা কখনোই বৃদ্ধি করা য় না যদি কোনো ভাগীদারের অস্তীত্ব থাকে। তাই স্বামীর পাওনা বাদে বাকী পুরো সম্পত্তি মা পেয়ে যায়, ফলে মা এর প্রকৃত পাওনা হয় ৯ শতক।
রাদ নীতি প্রয়োগের ৪নং উদাহরণ: ধরা যাক মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তি ১৫, ৮৪,০০০টাকা এবং স্বামী, মা ও কণ্যা রেখে গেছেন। স্বামীর স্বাভাবিক পাওনা ২৫% তথা ৩৯৬০০০টাকা। মা এর স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ২৬৪০০০ টাকা। মেয়ের স্বাভাবিক পাওনা ৫০% তথা ৭৯২০০০টাকা। কিন্তু রাদ নীতিতে যেই কোনো১জন ভাগীদার থাকলেই স্বামী বা স্ত্রীর অংশ রাদ নীতিতে বৃদ্ধি পায় না। তাই স্বামীর পাওনা বাদ দিয়ে স্বাভাবিক পাওনা হিশেব করলে মোট সম্পত্তি হওয়া উচিৎ (২৬৪০০০+৭৯২০০০) টাকা তথা ১০৫৬০০০ টাকা। কিন্তু স্বামীর পাওনা বাদ দিয়ে প্রকৃত সম্পত্তি আছে ১৫৮৪০০০ – ৩৯৬০০০ শতক বা ১১৮৮০০টাকা। ১০৫৬০০০ আর ১১৮৮০০০ এ তফাৎ হলো ১৩২০০০। ১৩২০০০ মোট স্বাভাবিক পরিমান ১০৫৬০০০ এর ১২.৫০%। তার মানে প্রকৃত পরিমান মোট পরিমানের চে ১২.৫০% বেশী।
রাদ নীতি প্রয়োগে মা’র স্বাভাবিক পাওনা ১৬.৬৭% তথা ২৬৪০০০ টাকা এর ১২.২৫% হলো ৩৩০০০টাকা। তাই স্বাভাবিক পাওনা ২৬৪০০০টাকা হতে ৩৩০০০টাকা বেড়ে মা এর প্রকৃত পাওনা হবে ২৯৭০০০ শতক।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সবশেষে বিষয়ের সংবেদনশীলতার কারণেই সাবধানতাস্বরূপ এই লেখা কেবলই বিবরণ এবং বিবরণ হিসেবেই লেকাটি গ্রহণের সানুনয় অনুরোধ করা গেলো। লেখকের বা প্রকাশকের কোনোমত এখানে দেয়া হয়নি। এই বিবরণে প্রকাশকের কোনো দায় নেই, সম্পূর্ণ দায় লেখকের।পূর্বে উল্লেখিত মোল্লা এবং সিরাজি এই ২ বই হতে লেখক এই বাংলা বিবরণ তৈরী করেছেন। বাংলা অনুবাদে কারও দ্বিমত থাকলে আলোচনা সাপেক্ষে ভুল ধরা পড়ার সাথে সাথে লেখক তা নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা পূর্বক সংশোধন করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিতর্কিত তথ্য বা বিতর্কিত মতের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যক্তি বা পুস্তকের দ্বারস্থ হবার সবিনয় অনুরোধ করা গেলো।
সাব্বির এ মুকীম: অ্যাডভোকেট; জজ কোর্ট, কুমিল্লা। ই-মেইল: samukim1@gmail.com
আরও পড়ুন: মুসলিম ফরায়েজে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন পদ্ধতির আদ্যোপান্ত (পর্ব-১)