বেসিক ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় আরেকটি মামলা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বংশাল থানায় ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তবে এ মামলায়ও বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। মামলার আসামিরা হলেন ইকসল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেসিক ব্যাংকের বাবুবাজার শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সেলিম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি তিনজন পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আগেই বিক্রি করা জমি বন্ধক দিয়ে, বন্ধককৃত জমির অতিরিক্ত মূল্যায়ন করে, প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র গ্রহণ না করে ও যথাযথ যাচাই না করে অধিক্ষেত্রের বাইরে ঋণ দিয়ে অপরাধ করেছেন।
আজ যখন মামলা হয়, একই সময় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
এর আগে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। কোনো মামলায়ই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সর্বশেষ আদালত পর্যন্ত সমালোচনা করেন।
আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১ মাসে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণের নামে বিভিন্নজনকে দিয়ে দেয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম