স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় হলে বাল্যবিয়ে কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিয়ে বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কার হাড়িতে কি রান্না হচ্ছে এটা জনপ্রতিনিধিরা ভাল করে জানেন। নিজ নিজ এলাকায় বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটলে জনপ্রতিনিধিরা তার দায় এড়াতে পারে না।
আদালত আরও বলেন, সরকার বাল্যবিয়ে বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কিন্তু সাফল্য কম।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সময় আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর বাল্যবিয়ে বন্ধে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
রুলে প্রতিটি বাল্যবিয়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে স্ব স্ব সংস্থার মেয়র ও কাউন্সিল কেন দায়ী থাকবে না এবং এ ধরনের বাল্যবিয়ে হলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে এ রুল জারি করা হয়। এই আদেশের অনুলিপি সকল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন,স্বরাষ্ট্র সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘২৪ ঘণ্টায় ৮ বাল্যবিয়ে বন্ধ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম