অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের পর এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ (এসকে মোরশেদ)। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তিনি নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। হাতিরপুলের বাসায় আইসোলেশনে আছি।
গত ১৬ জানুয়ারি (রোববার) রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১৭ জানুয়ারি (সোমবার) অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে হাইকোর্টের ১৩ জন বিচারপতি ও নিম্ন আদালতের ৩৬ জন বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘অনেক স্টাফও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা হয়তো আবার ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাবো। ভার্চুয়াল কোর্টে যে মামলা নিষ্পত্তি কম হয়, তা নয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি ভাবছি।’
মঙ্গলবার সকালে আপীল বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে প্রধান বিচারপতি এ তথ্য জানান।
সরকারি আইন কর্মকর্তারাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও কয়েকজন আইন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ বৃদ্ধিজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগ) বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এ সংক্রান্ত পৃথক দু’টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি দুটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এ সংক্রান্ত জারীকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। একইভাবে হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চের বিচারকাজও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।