মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের স্বার্থে, সার্বভৌমত্বের স্বার্থে কোনো বিভেদ নয়। এ বিষয়ে প্রফেশনাল আচরণ কাম্য। এখন রাষ্ট্রীয় দাম্ভিকতা কিংবা অহমিকা অথবা নির্বুদ্ধিতা দেখানোর সময় নয়। এই সংকটে সরকারকে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে।
এ সময় দেশের নানা সংকট মোকাবেলায় ১৪টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন গাইবান্ধা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য। সংসদে উত্থাপিত তাঁর এসব প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশের পর নেটিজেনদের ব্যাপক প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তাঁর ওই বক্তব্যের ভিডিও নানান প্রশংসাবানী ক্যাপশনে জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশা ও মতের মানুষ শেয়ার করেছেন নিজস্ব টাইমলাইনে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর, জরুরী জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি ৭১), উপস্থাপনীয় কাগজপত্র, কমিটির রিপোর্ট ও বিল সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) তিনি এসব প্রস্তাব করেন।
আলোচনায় জাপার সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত দেশ রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এখনো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। স্নায়ুযুদ্ধ একসময় সারা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছিল। এখনো নব্য স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক উভয় প্রেক্ষাপটে চলমান স্নায়ুযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাবধানে পা ফেলতে হবে। কারণ বাংলাদেশ নতুন এই স্নায়ুযুদ্ধের চারণভূমি হতে পারে। এজন্য আভ্যন্তরীণ ঐক্যমত্যে পৌঁছানো জরুরি।
তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে হত না যদি জাতিগত একতা থাকত। একাত্তর সালে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানের প্রতি নিষেধাজ্ঞা হয়নি, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কিংবা ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলার পরও এমন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। কিন্তু এখন আসছে। আমরা যতই হম্বিতম্বি করি আমেরিকার অর্থনীতির সাথে আমাদের তুলনা করি, তাদের গুমের সাথে আমাদের গুমের তুলনা করি না কেন, এটা মানতে হবে আমরা সংকটে আছি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে কথিত লবিস্ট কিংবা পিআর তত্ব নিয়ে পাল্টাপাল্টি সমালোচনা, তর্কযুদ্ধ হাস্যকর।
তিনি আরও বলেন, ভুলে গেলে হবেনা ভেনিজুয়েলা, যারা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ ছিল আজকে ৯৭ শতাংশ লোক সেখানে দরিদ্র্য, কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। আফগানিস্তান, ইরাক, সিকিম, মায়ানমারের অবস্থা ভুলে গেলে চলবে না। বাংলাদেশকে বাংলাদেশ হিসেবে সমুন্নত রাখতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গভীরভাবে ভাববার সময় এসেছে। জাতিগত ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর সময় এসেছে। এক্ষেত্রে সরকারকে মুখ্য দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এজন্য ১৪টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর প্রস্তাবনাসমূহ নিম্নরূপ-
১. রাষ্ট্রীয় ঐক্যমত্য প্রয়োজন। গত ১৩ বছর দেশের বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের (জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি) প্রধান একসঙ্গে কোন আলোচনায় বসেননি। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলতে পারি না। ন্যূনতম রাজনৈতিক ঐক্যমত না থাকলে ভবিষ্যতে পৌনঃপুনিক সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ।
২. পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে ‘বাংলাদেশি দর্শন’ (Bangladesh doctrine) প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক দলকেই ঐক্যমতে আসতে হবে আগামী বিশ বছর পররাষ্ট্র নীতিতে বাংলাদেশ এই ডকট্রিন অনুসরণ করবে।
৩. দেশ সংকটে আছে। এ সময় সকল বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রকে সক্রিয় করা প্রয়োজন। যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারতসহ আদি অকৃত্রিম বন্ধু ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সক্রিয় করা প্রয়োজন। যাতে করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জনিত সংকট তীব্রতর পর্যায়ে না পৌঁছায়।
৪. গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। এটি সারা বিশ্বের সংকট। সারাবিশ্বেই আজ বলা হচ্ছে, ‘ডেমক্রেটিক ব্যাকস্লাইডিং টুডে বিগিন এট ব্যালট বক্স’। গণতান্ত্রিক ক্ষয়, গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস, গণতান্ত্রিক বিপর্যয় এবং প্রভাব খাটিয়ে আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা এসব নিয়ে গণতন্ত্র সংকটে আছে। চরম দলীয়করণ ও মেরুকরণ গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। দেশে ১৫ আগস্ট ও ২১ শে আগস্টের মত ঘৃণিত ঘটনা ঘটছে এটা সত্য। কিন্তু দেশ তো বাঁচাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় ঐক্যমত্য ও সহমর্মিতা।
৫. রাজনীতিতে পারস্পরিক সহনশীলতা থাকা দরকার। রাজনীতি করতে গেলে সরকারি ও বিরোধী দল এবং বিরোধী মত থাকবেই। এসব মেনে নিয়ে পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে রাজনীতি করতে হবে।
৬. কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। যারাই ক্ষমতায় আসবেন তারা এমপি, মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীই হোন না কেন, তাদের মনে রাখতে হবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাত দেওয়া যাবে না। আমাদের বিচার বিভাগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ন্যায় বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক কোন সক্ষমতাই নাই। এছাড়া সংসদীয় কমিটিতে অধিক পরিমাণ বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যকে সভাপতি করা প্রয়োজন। যাতে করে মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়সহ সরকারকে দায়বদ্ধতার আওতায় আনা যায়। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ভাল মানুষ। কিন্তু কমিশনের দাঁত নেই। র্যাবের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া হয়নি। কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আজকে হয়তো এ বিষয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে হতো না। এ ধরণের কমিশনগুলো কেবল অবসর পরবর্তী লাভজনক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা থাকাবস্থায় সরকারি আনুগত্য স্বীকার করে সরকারের উদ্দেশ্য হাসিলে সহায়ক ভূমিকা পালন করে অবসরের পর তাদের এসব কমিশনে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানানো হয়েছে। জঙ্গি দমনে র্যাবের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে র্যাব সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সাথে সরকার, রাষ্ট্র এবং পুলিশও ব্যর্থ। আর এ কারণেই ৮০ লাখ মাদকসেবীর দেশ বাংলাদেশ।
৭. রাজনীতিবিদদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে দেশে রাজনীতিবিদদের হাতে কোন ক্ষমতা নেই। তাদেরকে কাছ থেকে সরিয়ে আমলাদের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ডিসি সম্মেলনে দলবেধে মন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি সকলকে কেন যেতে হবে! সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিনয়ের সাথে জেলা প্রশাসকদের বললেন, জনপ্রতিনিধিদের বিষয়গুলো সদ্বিবেচনা করবেন, সহানুভূতির সাথে দেখবেন। এর মানে রাজনীতিবিদদের এখন জেলা প্রশাসকদের সহানুভূতি নিয়ে রাজনীতি করতে হবে! ৫২’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ না হলে কোন সচিব, সচিব হতে পারতেন না। ব্রিটিশ কলোনিতে থাকলে আমলারা সর্বোচ্চ সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরি করতে পারতেন। রাজনীতিবিদরা আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন করেছে বলে উনারা আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। অথচ আজ রাজনীতিবিদদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।
৮. সংসদ হবে সকল সমস্যা সমাধানের জায়গা। এখানেও ব্যর্থ। বিরোধীদলের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি ৪২ অনুযায়ী প্রশ্ন উত্থাপন, সংশোধনী কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন ইস্যুতে করা প্রশ্নের এক শতাংশও কার্যকর হয়না। ব্যাপারটা এমন যে বিরোধীদল বলে যায়, সরকার শুনে যায়, বাস্তবায়নের দরকার নাই। সংশ্লিষ্টদের বোঝা উচিত, একজন সাংসদ নন, বরং একজন মন্ত্রী সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। এই ছোট পার্থক্যটুকুও সংশ্লিষ্টরা ভুলে গেছেন। সংসদকে যদি সর্ব সমস্যার সমাধান কেন্দ্র করা যেত তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতো না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করা হচ্ছে, এর জন্য সাধুবাদ যে অবশেষে এ বিষয়ে একটা আইন হচ্ছে। কিন্তু এখানে সংসদের ভূমিকা কই? এই আইন প্রণয়নে সংসদ নেতা, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মতামত গ্রহণের জন্য রাখা হয়নি। বিরোধীদল থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল সার্চ কমিটিতে বড় তিনটি রাজনৈতিক দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি রাখা হোক। কিন্তু আইনে রাখা হয়নি।
৯. তারুণ্য নির্ভর রাজনীতি এখন অত্যন্ত প্রয়োজন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ভগত সিং তাঁর বইতে লিখে গেছে, ‘দেশের কাজে যে যৌবন আসবেনা, সেই যৌবন সম্পূর্ণ বৃথা।’ এজন্য রাজনীতিতে তরুণদের ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। তরুণদের রাজনীতিতে এনে, দেশের দায়িত্বশীল পদে পদায়ন করা দরকার। প্রৌঢ়ের প্রজ্ঞা তারুণ্যের শক্তি –এই দুইয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।
১০. প্রধানমন্ত্রীর দর্শন পরিবর্তন প্রয়োজন। কারণ যিনি দেশের নির্বাহী প্রধান হবেন, জনগণ চায় তিনি জনগণের কাছে যাবেন। কিন্তু নিরাপত্তা কিংবা বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীকে গণমানুষের সাথে দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টির আশু সুরাহা প্রয়োজন। জনগণ এবং জনপ্রতিনিধির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশ ভালভাবে চলতে পারে না। এ সংযোগ স্থাপন জরুরি, জনপ্রতিনিধির কাছ থেকেই জনগণ ও দেশের তথ্য নিতে হবে, রিপোর্টের ভিত্তিতে নয়।
১১. শাসনব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। এ বিষয়ে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জি স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘শাসনপদ্ধতির অতি কেন্দ্রীকরণ দারিদ্রতার প্রধান কারণ।’ দেশের উপজেলা হাসপাতালগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। উপজেলায় আদালত স্থাপন করতে হবে। উপজেলাকেই সরকারি সেবার কেন্দ্র বানাতে হবে যাতে করে জনগণকে জেলা পর্যায়েও যেতে না হয়।
১২. ধর্মীয় বহুত্ববাদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দেশে মণ্ডপে হামলা, কাওয়ালী মঞ্চ ভাঙচুর হয়েছে। কি আশ্চর্য! এই বাংলাদেশ তো অচেনা। মণ্ডপ ভাঙচুরের সময় স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি কেন সাথে সাথেই এগিয়ে এলো না? এই ব্যর্থতা রাষ্ট্রীয়।
১৩. প্লুরাস্টিক ও পলিফোনিক সমাজ বিনির্মাণের সাথে সিনক্রেটিক নেচার তৈরি করতে হবে। স্বাচ্ছন্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বাঁচতে হলে দেশে এসবের গুরুত্ব অপরিসীম।
১৪. ক্যাশলেস ইকোনমি গড়ে তোলা প্রয়োজন। এতে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া গার্মেন্টস এবং রেমিটেন্স নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে নতুন নতুন আয়ের খাত তৈরি করতে হবে। এতে অর্থনীতি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে।
প্রস্তাব উপস্থাপন শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরির আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশের প্রধানমন্ত্রী। আপনি সংসদের নেতা, আপনি নিজেকে কেবল একটি দলের নেতা ভাববেন না। আপনি অনেকের নেতা, আপনাকে সে দায়িত্বপালন করতে হবে।
এ সময় ব্যারিস্টার শামীম আরও উল্লেখ করেন, বেকারত্ব, দারিদ্য, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বৈদেশিক নিষেধাজ্ঞা, মাদক সহ সকল সমস্যা শূণ্যের কোটায় চাই।
ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম/ডেস্ক রিপোর্ট