কোনও মেয়ে যদি বাবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়ে ইচ্ছুক না হয়, তাহলে সে শিক্ষা বা বিয়ের জন্য বাবার কাছ থেকে টাকা পাওয়ার অধিকারী নয়। এমনই রায় দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বিবাহ বিচ্ছেদের এক মামলার রায় দিতে গিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ও বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চ এ কথা বলেছে। খবর এবিপি আনন্দ’র
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছর বয়সি এক তরুণী তাঁর বাবার সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখতে চান না। তখন প্রশ্ন ওঠে সেক্ষেত্রে তিনি কি তাঁর বাবার কাছ থেকে শিক্ষা বা বিয়ের জন্য টাকা দাবি করতে পারেন?
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘এই তরুণীর বয়স ২০ বছর। তাঁর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তিনি বাবার সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখতে চান না। তিনি নিজের পথ বেছে নিতেই পারেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে বাবার কাছ থেকে শিক্ষা বা বিয়ের জন্য টাকা দাবি করতে পারেন না।’
জানা গেছে, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন ওই তরুণীর বাবা। কিন্তু হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘এক্ষেত্রে কোনও সন্দেহই নেই যে বর্তমান মামলায় বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। তাই আমরা ভারতীয় সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুসারে বিবাহ বিচ্ছেদর আবেদন মঞ্জুর করছি।’
বিবাহ বিচ্ছেদর আবেদন মঞ্জুর করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আদালত বলেন, ‘দম্পতির মধ্যে ঝগড়া, একে অপরকে আক্রমণ ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। একসঙ্গে বসে আলোচনা করা বা ফোনে কথা বলার মতো সম্পর্কও আর নেই তাঁদের। তাই বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সেই কারণেই আমরা বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জি মঞ্জুর করছি।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্ত্রীকে আপাতত প্রতি মাসে ৮,০০০ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তীকালে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিলে আর কোনও দাবি থাকবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা।
আদালতের নির্দেশ, ওই মহিলা চাইল এই টাকা থেকে তাঁর মেয়েকে কিছু দিতে পারেন।