মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : দুই লক্ষ ৫৫ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় ৪ জন আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
মামলার অপর একজন আসামিকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আজ রোববার (২০ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত তিনজন আসামি যথাক্রমে মোঃ আবদুল হামিদ, মোঃ মিন্টু আলী ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দন্ডিত বাকী ২ জন আসামী যথাক্রমে মোঃ বিল্লাল হোসেন ও মোঃ হেলাল পলাতক রয়েছে।
১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত আসামীরা হলো : যশোরের শার্শা উপজেলার মশিউর রহমান ও রেবেকা খাতুনের পুত্র মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২০), একই এলাকার মৃত গোলাম হোসেন এর পুত্র মোঃ আবদুল হামিদ (৪৫), যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বরকত উল্লাহ সরদারের পুত্র মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং টেকনাফ রঙ্গীখালীর নুর আহমদ প্রকাশ আই মেম্বারের পুত্র মোঃ হেলাল (৩৯)।
মামলার ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী হলো-ট্রাক ড্রাইভার যশোরের শার্শা উপজেলার আবদুর রশিদ ও জয়গুনের পুত্র মোঃ মিন্টু আলী (২৭)।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম’কে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দন্ডিত আসামী মিন্টু আলী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানে রাষ্ট্র পক্ষকে সহায়তা করায় তাকে অপেক্ষাকৃত লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও বিচার
২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে তিন টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার বালুখালী কাস্টম চেকপোস্টে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম একটি ট্রাকে তল্লাশি করে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও ৫ জন ইয়াবাকারবারীকে আটক করে।
এ ঘটনায় শাহপরীরদ্বীপ হাইওয়ে পুলিশের এসআই রাজেশ বড়ুয়া বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার উখিয়া থানা মামলা নম্বর ২৮/২০১৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ২৭৭/২০১৭ ইংরেজি এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৫৯৭/২০১৯ ইংরেজি।
মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীদের পক্ষে জেরা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে আসামিদের উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।