জেল ও জরিমানার বিধান রেখে ওষুধ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে কেবল ওষুধই না, প্রসাধনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনের নামকরণ করা হয়েছেন ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩। এ আইনে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
আইনটি এরপর সংসদের অনুমোদন পেয়ে বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৮২ সালের ড্রাগ অর্ডিন্যান্স এবং ১৯৪০ সালের ড্রাগ অ্যাক্ট দিয়ে এতোদিন চলছিল। পাশাপাশি ১৯৮৪ সালের ওষুধ নীতিমালাও অনুসরণ করা হচ্ছিলো। পুরনো আইনগুলোকে সমন্বিত ও হালনাগাদ করে নতুন এই আইনটি প্রনয়ন করা হয়েছে। নতুন আইনে কসমেটিকস যোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আইনটিতে মোট ত্রিশটি বিষয় রয়েছে যা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেজন্য নানা মেয়াদে জেল, জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি, উৎপাদন, ভেজাল ওষুধ তৈরির মতো অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন রাখা হয়েছে।
এছাড়াও কোনো ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
মাহবুব হোসেন জানান, আইনের ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ হবে। কারণ আইনে উল্লেখ রয়েছে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ থাকতে হবে। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া কসমেটিকসের উৎপাদন, বিতরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ যারা করছেন তাদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এটা ঠিক করবে ওষুধ প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে নতুন আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মানা হয়েছে আইনে। এটি এখন সংসদে উত্থাপন হবে, সেখানে পরীক্ষার পর চূড়ান্ত হয়ে বাস্তবায়ন শুরু হবে।