বাংলাদেশ লিগ্যাল টাইমস (বিডিএলটি) ল’ইয়ার অব দ্যা ইয়ার ২০২২ নির্বাচিত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
লিগ্যাল টাইমসের ল’ইয়ার অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হওয়ায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, আমাকে ল’ইয়ার অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত করায় সম্মানিত বোধ করছি, বাংলাদেশ লিগ্যাল টাইমস (বিডিএলটি) কে ধন্যবাদ। দেশের আইনজীবী আইনঙ্গনের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে বিডিএলটি-এর প্রচেষ্টা বেশ প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন : বিগত নির্বাচনে বহুতল ভবনের অঙ্গীকার করেছিলাম, নির্বাচিত হলে নির্মাণকাজ শুরু করব
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ লিগ্যাল টাইমস দেশের প্রথম আইন বিষয়ক ইংলিশ ম্যাগাজিন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ লিগ্যাল টাইমস দেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে বর্ষসেরা আইনজীবী হিসেবে সম্মানিত করে আসছে।
মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
১৯৬১ সালের আজকের দিনে (৩ আগস্ট) কিশোরগঞ্জের অষ্টবর্গ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোমতাজ উদ্দিন ফকির। বাবা আইনজীবী হওয়ায় আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে তাঁর অনুপ্রেরণা ও দেখানো পথে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৮৮ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
আইনজীবীদের ভালবাসা ও ভোটে জনপ্রিয় এই আইনজীবী নেতা একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকীয় পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৯৪-১৯৯৫ মেয়াদে ‘সহ-সম্পাদক’ এবং ২০০১-২০০২ মেয়াদে ‘সম্পাদক’ নির্বাচিত হন। আর ২০২২-২০২৩ মেয়াদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সভাপতি নির্বাচিত হন।
সমিতির দায়িত্ব পালনকালে দল, মত ও সকল দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে পেশার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী।
অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আইনজীবীদের স্বার্থ ও আইন পেশার মর্যাদা রক্ষার্থে সর্বদা নিয়োজিত এই আইনজীবী নেতা বর্তমানে সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের আসন্ন নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আইনজীবীদের অধিকার আদায় ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং বার ও বেঞ্চের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
এছাড়া দীর্ঘ এক দশক (২০১০-২০২০) রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে গ্রেফতার ও বিনা বিচারে কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে।