মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : সাত হাজার ৬০০ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারে ১ রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দন্ডিত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ (ভা:) নিশাত সুলতানা বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিত আসামী হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প-১ (W) এর ছানা উল্লাহ ও আইয়ুবা খাতুনের পুত্র মোঃ রফিক (৩৪)। দন্ডিত আসামী হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী এবং আসামীর পক্ষেরাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী (SDL) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম-৪ আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।
একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০১৯ সালের ৬ জুন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে র্যাব-১৫ এর টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ক্যাম্পের একটি টিম হোয়াইক্ষ্যং বন বিট অফিসের সামনে রাস্তার উপর এক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা মোঃ রফিককে আটক করে। পরে তার হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগ থেকে র্যাব এর টিম ৭ হাজার ৬০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর ইন্সপেক্টর মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রোহিঙ্গা মোঃ রফিককে আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৯২/২০১৯ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ৫৩৯/২০১৯ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ৯৮৬/২০২০ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে প্রেরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাটির ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ (ভারপ্রাপ্ত) নিশাত সুলতানা আসামী মোঃ রফিক-কে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(গ) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।