আইনি সহায়তার জন্য ব্যবহারে ব্রিটিশ-আমেরিকান তরুণ উদ্যোক্তা জশুয়া ব্রাওডার একটি অ্যাপ তৈরি করেন। ‘ডু নট প্লে’ নামের অ্যাপটি বিশ্বের প্রথম ‘রোবট আইনজীবী’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইনি সহায়তা দিতে অ্যাপটি চালু হলেও মামলার খড়গে পড়তে হল।
‘ডুনটপে-এর কোনো আইন বিষয়ক ডিগ্রি নেই। আইন বিষয়ক ডিগ্রি ছাড়া আইনি পরামর্শ প্রদানের যোগ্যতা কারো থাকার কথা নয়। এমনকি এই রোবটটি কোনো আইনজীবীর অধীনেও পরিচালিত হচ্ছে না।’
ডুনটপে নামের ওই রোবটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিকাগোভিত্তিক একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলায় রোবটির বিরুদ্ধে লাইসেন্স ছাড়া ওকালতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সান ফ্রান্সেসকো রাজ্যের আদালতে গত ৩ মার্চ এই মামলা দায়ের করেন আইনি প্রতিষ্ঠান এডেলস।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, ডুনটপে একটি রোবট। সে কোন আইনজীবী নন। এমনকি আইনি প্রতিষ্ঠানও নয়। ডুনটপে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে খুবই নিম্নমানের আইনি পরামর্শ দিচ্ছে। এমনকি আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করার নিবন্ধনও তার নেই।
প্রতিষ্ঠানটি আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, ‘ডুনটপে-এর কোনো আইন বিষয়ক ডিগ্রি নেই। আইন বিষয়ক ডিগ্রি ছাড়া আইনি পরামর্শ প্রদানের যোগ্যতা কারো থাকার কথা নয়। এমনকি এই রোবটটি কোনো আইনজীবীর অধীনেও পরিচালিত হচ্ছে না।’
মূলত মামলার বিষয়ে আইনি প্রতিষ্ঠান এডেলসের দ্বারস্থ হোন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত জোনাথ ফারিডিয়ান। তিনি বলেন সান ফ্র্যান্সেসকো ভিত্তিক ‘ডুনটপে’ ব্যবহার করে তিনি একটি ডিমান্ড লেটার ও কোর্টে কিছু ছোট অভিযোগ দায়ের করার জন্য এলএলসি এগ্রিমেন্ট প্রস্তুত করেছিলেন। যা ছিল খুবই নিন্মমানের। এতে তার ক্ষতিও হয়েছিল।
যদিও ডুনটপে এর সিইও জশুয়া ব্রাওডার এক টুইটবার্তায় বলেন, ডুনটপে এর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মি. ব্রাউডার ২০১৫ সালে এই ‘ডুনটপে’ চালু করেন। তবে সম্প্রতি ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি ব্যাপক আলোচনায় আসার পর ডুনটপে এর সিইও এক টুইট-বার্তায় জানায়, এখন থেকে ডুনটপে এআই ব্যবহার করে আইনি পরামর্শ প্রদান করবে। তবে নিম্নমানের আইনি পরামর্শ অব্যাহত থাকায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।