টাকার বিনিময়ে কোনো বিচারক বিচার বিক্রি করলে তাঁর বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বুধবার (১২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি এ হুঁশিয়ারি দেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘করাপশন (দুর্নীতি) একটি ক্যানসার। আমার হাতে পাঁচটি আঙুল আছে। একটি আঙুলে ক্যানসার হলে তার চিকিৎসা হলো কেটে ফেলা। যে জজ (বিচারক) বিচার বিক্রি করেন, ক্যানসার হিসেবে তাঁকেও কেটে ফেলতে একটুও দ্বিধা করা হবে না। কারণ, আমি মনে করি, একজন ডাকাত যখন ডাকাতি করে, তখন চড়–থাপ্পড় মেরে কিছু সম্পদ নিয়ে যায়, কিন্তু যিনি টাকার বিনিময়ে বিচার করে একজনের সম্পদ অন্যজনের দিয়ে দেন, তিনি ডাকাতের চেয়েও খারাপ। আমরা এ জন্য যুদ্ধ করিনি।’
প্রধান বিচারপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি কোনো জজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য, মানুষ যাতে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পায়। সৃষ্ট মামলার জট নিরসনে বিচারকেরা কাজ করছেন, মামলার জট নিরসনে তাঁদের ভূমিকা রাখতে বলা হয়েছে। তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়। আদালতে সেবা নিতে আসা মানুষ যাতে কোনো কষ্টে না পড়েন, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে; আদালতে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে।’
সকাল ১০টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও মতবিনিময়কালে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা, জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম, সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ কুমার ঘোষ, ইসমাইল হোসেনসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আদালত চত্বরে একটি গাছের চারা চারা রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি। পরে তিনি জেলায় কর্মরত বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।