মনজিলা সুলতানা ঝুমা: বিবাহ শব্দটির সাথে আমাদের জীবন সামাজিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। বিয়ে বলতে বোঝায় আচরণত ভাবে বা আইনগতভাবে স্বীকৃত একজন নারী ও একজন পুরুষের ভিতর দৈহিক এবং সামাজিক সম্পর্ক যার সাথে বেশ কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য যুক্ত। এই দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে মূল বিষয় থাকে সন্তান জন্মদান এবং তাদের লালন-পালন। অর্থাৎ বিবাহ বা বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
আমাদের ব্যক্তিজীবনে বিবাহ সম্পর্কিত কিছু সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা আমরা প্রায়শই মোকাবেলা করি যেমন : দেনমোহর, কাবিননামা, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং সার্বিক দিক বিবেচনা করে আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ও তালাকনামা রেজিষ্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা কেন গুরুত্বপূর্ণ।
কাবিন বা কাবিননামা অথবা নিকাহনামা কি
কাবিন একটি ফারসি শব্দ এটি মুসলমানদের বিয়েতে কন্যাকে দেয়া হয় মোহারানাকে কাবিন ধরা হয়। এই কাবিন থেকেই কাবিননামার উৎপত্তি। কাবিননামা (বিশেষ্য) বিয়ের চুক্তিপত্র। (ফারসি) কাবীন+নামাহ; কাবিননামা বলতে বিবাহ সম্পাদনের লিখিত চুক্তি বোঝায়। একে নিকাহনামা বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিবাহ সম্পাদনের জন্য বা বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ‘কাবিননামা’ অপরিহার্য নয়। কাবিননামা একটি আইনি বাধ্যবাধকতা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত কাজী সরকার নির্ধারিত ছকে কাবিননামা সম্পাদন করে থাকেন। স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর আদায়, স্ত্রীর ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে নিবন্ধিত কাবিননামা একটি আইনি দলিল।
সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের জন্য কাজির ম্যারিজ রেজিস্ট্রারে লিখিত বর, কণে, উকিল ও সাক্ষীদের স্বাক্ষর সম্বলিত নির্ধারিত চুক্তিনামাকেই কাবিন বলা হয়। আইনানুযায়ী কাবিনের সত্যায়িত নকলের কপি কাজি সাহেব বর-কণে পক্ষকে চাহিদা সাপেক্ষে দিয়ে থাকেন।
বিবাহের কাবিনের প্রয়োজনীয়তা কি
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিবাহ নিবন্ধন বা কাবিননামা বর-কনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। নিবন্ধন বা কাবিননামা ব্যতীত বিবাহ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যায় ফলে মেয়েদের প্রতারিত হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় সবচেয়ে বেশি দেনমোহর, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের অভিভাবকত্ব ইত্যাদি দাবির ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধন বা বিবাহের কাবিননামা বিচারিক আদালতে আইনগত দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
তাছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কাবিননামার গুরুত্ব ব্যাপক। বিশেষ করে কাবিননামায় বয়স উল্লেখ করতে হয় বিধায় বাল্য বিবাহ রোধও সম্ভব। এটি বিবাহিত ছেলে-মেয়ে উভয়ের ভবিষ্যত আইনগত অধিকার সংরক্ষণ করে। বিবাহ সম্পর্কে উভয় পক্ষ থেকেই যে কোন সময় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তখন কাবিননামা প্রমাণ পত্র হিসেবে কাজ করে।
বিবাহ নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে রাষ্ট্রীয়ভাবেই বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমকে অত্যাবশক করা হয়েছে। নিম্নে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের বিধানটি কেন রাখা হয়েছে তার কয়েকটি উদ্দেশ্য আলোচনা করা হলো:
- বিবাহের বৈধতা প্রমানে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন জরুরী। কোন পক্ষ বিবাহের সত্যতা অস্বীকার করতে তা প্রমানের জন্য;
- স্ত্রী’র অধিকারের আইনি স্বীকৃতি প্রদান তথা স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী ভরনপোষণ আদায় করতে;
- পিতৃত্বের পরিচয় ও বৈধতা নির্ধারণ করা;
- বাল্যবিবাহ রোধ করা;
- স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া স্বামী পুনরায় বিবাহ করলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কাবিননামা প্রয়োজন;
- স্ত্রী নিকাহ্ নামায় উল্লেখিত দেনমোহর আদায় করতে পারেন; যে ক্ষেত্রে দেনমোহর নির্দিষ্ট করা নাই, সেক্ষেত্রে স্ত্রী ন্যায় সংগত পরিমাণ দেনমোহর আদায় করতে;
- স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু ঘটলে দুইজনের মধ্যে যিনি বেঁচে থাকবেন, তিনি মৃতের সম্পত্তি থেকে বৈধ অংশ আদায় করতে পারবেন।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ে আদালত তথা বিচারিক কার্যক্রমে অধিকার নিশ্চিত করতে এ কাবিন বা বিবাহ নিবন্ধনের তথ্য প্রয়োজন হয়। যা স্বামী-স্ত্রীর জন্য একটি আবশ্যকীয় প্রমাণ। সুতরাং বর-কনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও সহাবস্থান এবং সত্যতা নিরূপনে কাবিনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বিয়ে বা ডিভোর্স রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত আইনসমূহ
বিয়ে বা ডিভোর্স রেজিস্ট্রি করার জন্য আমাদের দেশে আইন আছে। এই আইনের বিধান মতে প্রত্যেকটি বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার ম্যারেজ রেজিস্ট্রার নিয়োগ করিবেন। প্রত্যেক বিবাহ রেজিস্ট্রার সরকারের নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিটি বিবাহ এবং তালাক এর পৃথক নিবন্ধন বজায় রাখবেন।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ এর ৩ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিটি বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। মুসলিম বিবাহ ও তালাক(রেজিষ্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ এর ৫ ধারা অনুযায়ী বিয়ে সম্পাদনের পর তাৎক্ষণিক বা ৩০ দিনের মধ্য বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। এটাই বিয়ে রেজিস্ট্রিকরণ আইন। এই আইনটি ১৯৭৪ সালে কার্যকরী হয়। এছাড়াও আরও একটি বিধিমালা আছে যার নাম মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯।
রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা /রেজিস্ট্রেশনের সময় ও ব্যর্থতায় শাস্তি
রেজিস্ট্রেশন বিয়ের দিন করা সব থেকে যুক্তিযুক্ত। এতে করে পরবর্তীতে কোনো বাড়তি ঝামেলা যদি হয় সেটি থেকে মুক্ত থাকা যায়। আমাদের দেশের মুসলিম বিবাহ ও তালাক(রেজিষ্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ এর ৫ ধারা অনুযায়ী বিয়ের দিন অথবা বিয়ের ৩০ দিনের মাঝে রেজিস্ট্রি করা যায়।
বিয়ের দিন কোনো কারণে রেজিস্ট্রি করা না হলে অনেক সময় পরে কাজি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়ে ওঠে না। তাই যখনই বিয়ে পরানো হবে সেই সাথে সাথেই রেজিস্ট্রি করে ফেলা ভালো।
তবে আমাদের দেশে মুসলিম বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না করা হলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কেউ বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না করলে উক্ত অপরাধের শাস্তি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড বা ৩০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয়।
বিবাহ রেজিষ্টেশন সংক্রান্ত কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর
বিবাহ ও বিবাহ নিবন্ধন সম্পর্কিত কিছু বাস্তব প্রশ্ন নিম্নে আলোচনা করা হলো
কাবিনানামা না থাকলে বা রেজিষ্ট্রেশন করা না হলে বিয়ে অবৈধ বলে গণ্য হবে কিনা?
না বিয়েটি অবৈধ হবে না। কারন শরীয়া আইনের অন্যান্য শর্ত পূরণ করে বিয়ে সম্পূর্ণ হলে, বিয়ে নন-রেজিস্ট্রেশনের কারনে বিয়ে অবৈধ হবে না। তবে নন-রেজিস্ট্রেশনের কারনে বিয়ে হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এক্ষেত্রে ৫১ ডিএলআর ১৯৯৯(HCD)২৯২, মোঃ চান মিয়া বনাম রূপনাহার মামলায় হাইকোর্টের অভিমত প্রণিধানযোগ্য।
উক্ত মামলায় হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেয় যে- অন্যকোনভাবে বিয়ে বৈধ হলে, কাবিননামা না থাকলে বা বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না হলে উক্ত বিয়েকে অবৈধ বলে গণ্য হবে না।অর্থাৎ শরীয়া আইনের অন্যান্য শর্ত পূরণ করা হলে বিয়ে বৈধ এবং বিয়ে নন-রেজিষ্ট্রেশনের কারনে অবৈধ হয় না।
বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন কি বিয়েকে বৈধ করে?
বিয়ের বৈধতার সাথে রেজিষ্ট্রেশন এর সম্পর্ক নাই, তবে বিবাহ প্রমানের সাথে সম্পর্কিত। কাবিননামা না থাকলে বা বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা না হলে উক্ত বিয়ে অবৈধ নয়। এক্ষেত্রে ২১ ডিএলআর ২১৩ ডা. এ আই এম আবদুল্লাহ বনাম রোকেয়া খাতুন মামলায় হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেন যে – বিয়ের নন-রেজিস্ট্রেশন বিয়ের বৈধতাকে আঘাত করে না। কিন্তু বিয়ের নন-রেজিস্ট্রেশন বিয়ে নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক সৃষ্টি করে।
শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন কি বাধ্যতামূলক?
না, শরীয়াহ আইন অনুযায়ী তা বাধ্যতামূলক নয়। শরীয়া আইন অনুযায়ী কাবিননামা অত্যাবশকীয় উপাদান নয় বিধায় এটির অনুপস্থিতর কারনে বিয়ে অনিয়মিতও হয় না। তবে কাবিননামা না থাকলে বিয়ে আসলে হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে।
কাবিননামা না থাকলে কিভাবে বিয়ে প্রমাণ করা যাবে?
বিয়ে যে হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত প্রমাণ হচ্ছে কাবিননামা। কোন পক্ষ যদি দাবী করে- তার বিয়ে হয়েছে কিন্তু কাবিননামা নেই৷ সেক্ষেত্রে বিয়ে হয়েছে সেটা প্রমানের ভার তার। এক্ষেত্রে বিয়ের শর্তসমূহ পূরণ হয়েছে বা বিয়ে হয়েছে তার স্বপক্ষে তাকে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।
আনোয়ার হোসেন বনাম মমতাজ বেগম ৫১ ডিএলআর (HCD) ৪৪৪ মামলায় হাইকোর্ট আনরেজিষ্টার্ড বা অনিবন্ধিত বিয়ের ক্ষেত্রে বিয়ের অত্যাবশকীয় উপাদান গুলো সাক্ষ্য দিয়ে সুস্পষ্ঠভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করতে হবে। ইজাব, কবুল ও বিবাহের সাক্ষীর উপস্থিতি যদি সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করা যায়, তাহলে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা না হলেও উক্ত বিয়ে বৈধ।
কাবিন বা কোন প্রমানাদি ছাড়া দীর্ঘ সময় এক সাথে থাকা কী বিয়ে হিসেবে গণ্য হবে?
অবশ্যই না। কাবিননামা না থাকার কারনে, কেউ যদি বলে- তারা দীর্ঘদিন একসাথে থাকে বা লিভ টুগেদার করে। এই একসাথে থাকা বা লিভ টুগেদার বিয়ের প্রমাণ নয় এবং কাবিননামা কে এটা দিয়ে খন্ডন করা যাবে না। কাবিননামার অনুপস্থিতিতে বিয়ে প্রমাণের জন্য তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে শরীয়তের শর্তসমূহ- প্রস্তাব প্রদান ও প্রস্তাবে সম্মতি বা কবুল, পক্ষদের স্বাধীন সম্মতি এবং সাক্ষীর উপস্থিতি।নসুতরাং বলা যায়, কাবিননামা না থাকলে বা বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করলে বিয়ে অবৈধও হয়না, অনিয়মিতও হয়না।
স্ত্রীর কাছে কোন কাবিন নামা নাই, শুধু বিয়ের তারিখ আর এলাকার নাম জানেন তার ক্ষেত্রে কাবিন নামা তোলার উপায় কি এবং সে কি তার বিয়ের প্রমানের দায়িত্বত কার?
একজন স্বামী বা স্ত্রীর অধিকার তার বিবাহের কাবিনামা পাওয়ার। কোন কারনে যদি তা তাদের কাছে না থাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কাজী অফিস থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে। এবং কোণ পক্ষ যদি তাদের বিয়ে অস্বীকার করে তাহলে যে পক্ষ বিয়ে আছে দাবী করে এটা তাকেই প্রমান করতে হবে। এক কথায় বিয়ে প্রমানের বোর একটি প্রমান হলো কাবিন।
পরিশেষে বলা যায় বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না করা হলে বিবাহ সম্পাদন এবং বৈবাহিক সম্পর্ক উদ্ভূত অধিকার ও কর্তব্য সংক্রান্ত ঝামেলা ক্ষেত্রে সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি হয়। বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না করলে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
বর্তমান বাংলাদেশের বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতিগতভাবে কিছুটা জটিল। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে আদালত তথা বিচারিক কার্যক্রমে অধিকার নিশ্চিত করতে এ কাবিন বা বিবাহ নিবন্ধনের তথ্য প্রয়োজন হয়। যা স্বামী-স্ত্রীর জন্য একটি আবশ্যকীয় প্রমাণ বা রক্ষা কবজ।
বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজীকরণ করা খুবই জরুরি। সুতরাং বর-কনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও সহাবস্থান এবং সত্যতা নিরূপনে বিবাহ নিবন্ধনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।