আইনজীবীর জাল সনদ ব্যবহার করে পদ্মা গ্রুপ অব কোম্পানিতে আইন কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছর কাটিয়েছেন প্রতারক রফিকুল আলম ওরফে হাসান। এ সময় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে।
সেই মামলায় রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিন বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাতুল রাকিব রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার বিশ্বাস আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।
অপরদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ হাফিজুর রহমান, আবু তাহের রনি ও মো. মিলন হোসেন আসামির রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মিলন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, পদ্মা গ্রুপ অব কোম্পানির মামলা পরিচালনার জন্য ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর আসামি রফিকুল আলম হাসানকে কোম্পানির আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের সময় রফিকুল আলম হাসান জানান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে ২০০৭ সালে আাইনজীবী হিসেবে সনদ পেয়েছেন এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে তার সদস্য নম্বর-৫০৩৭। তিনি ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত থেকে পদ্মা গ্রুপ থেকে তিনি আইনজীবীর ফি, তদবিরের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
বাদীর প্রতিষ্ঠান পরবর্তী সময়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন— আসামি একজন ভুয়া আইনজীবী। তিনি মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীর ফি, তদবির ও অন্যান্য খরচ বাবদ কোম্পানি থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।
ওই ঘটনায় গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মা গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান খান মোহাম্মাদ আমির রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর গত ১৬ ডিসেম্বর আসামিকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।