জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার মামলায় নোয়াখালীর দুই আসামিকে আগাম জামিন না দিয়ে পুলিশে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এজাহারের বর্ণনা গোপন করায় আসামি পক্ষের আইনজীবীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন আদালত।
আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে রোববার (২জুন) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। পরে তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাহাব উদ্দিন আহম্মদ টিপু ও মো. মুজিবুর রহমান মুজিব। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মাগফুর রহমান শেখ।
১৩ এপ্রিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন শরীফপুর ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামের মো.নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল নুরুল ইসলামের। এ অবস্থায় ১২ এপ্রিল আসামিরা হামলা চালিয়ে নুরুল ইসলামের লোকজনকে রক্তাক্ত জখম করেন।
এতে একজনের কব্জিতে কোপ লাগে। আরেকজনের মাথায় কোপ পড়ে। কাটা স্থানে ১১টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া, আসামিরা সোনার চেইন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। পাশাপাশি একটি নিশান গাড়ি ভাঙচুর করেন।
এ মামলার এক নম্বর আসামি গোলাম সারোয়ার (৪৫)ও দুই নম্বর আসামি মো. মফিজ মিয়া (৫৫) হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাহাব উদ্দিন আহম্মদ টিপু জানান, শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী এজাহারের বর্ণনা গোপন করেছিলেন। মূল যে অভিযোগ সেটি উপস্থাপন করেননি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আদালতে সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরি।
তিন বলেন, হামলায় জখম হওয়া তিনজন ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ কথাগুলো গোপন রাখা হয়েছে। পরে আদালত আইনজীবীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে আসামিদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।