বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডিভিশন পাওয়ার বিষয়ে অবশেষে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। আদালত তাকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে ডিভিশনে পাঠানোর নির্দেশের কপি আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্দেশের কপি আদালত থেকে জেলগেটে নিয়ে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
কারা অধিদফতর জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ পাওয়ায় খালেদা জিয়াকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে ডিভিশন দেয়া হবে।
কারাসূত্র জানিয়েছে, জেলকোডের অধ্যায় ২৭, রুল ৯১০(১) অনুযায়ী খালেদা জিয়া ডিভিশন-১ বন্দির মর্যাদা পাবেন। এক্ষেত্রে তিনি পছন্দের খাবার, বিছানা, দৈনিক পত্রিকা, চেয়ার-টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, পছন্দের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন প্রথম শ্রেণির একজন বন্দি হিসেবে ১৫ দিনের পরিবর্তে ৭ দিনে একবার চিঠি লেখার সুযোগ পাবেন।
খালেদা জিয়া একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে সকালে ৮৭ গ্রাম আটার রুটি ও ৮৭ গ্রাম ডাল-সবজি পান। দুপুর ও রাতে ৪৯৫ গ্রাম সরু চালের ভাত, ২১৮ গ্রাম মাছ-মাংস এবং সারা দিনে প্রায় ১৪৫ গ্রাম ডাল পাবেন।
এ ছাড়া তেল, লবণ, মরিচসহ সব মিলিয়ে তিনবেলা খাবার বাবদ একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ হয় ১১৫ টাকা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কারাগারের ভেতরে প্রধান ফটকসংলগ্ন জেল সুপারের কক্ষে রাখা হয়েছে তাকে। এখানে খালেদা জিয়ার ব্যবহারের জন্য একটি পুরনো ফ্রিজ দেয়া হয়েছে। পাশের রুমে গ্যাসের চুলায় রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।