রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যদি পদত্যাগ করেন, সেক্ষেত্রে কে বসবেন ওই পদে? এ বিষয়ে নানা গুঞ্জন চলছে জনমনে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দেন, দুই উপদেষ্টা। তবে, বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন, প্রধান বিচারপতি।
গেলো কদিন ধরেই আলোচনায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে শপথ ভাঙার অভিযোগ এনেছে খোদ সরকার। আন্দোলনকারীরা তো বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়ে পদত্যাগের আল্টিমেটামও দিয়ে রেখেছেন।
এমন বাস্তবতায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন, দুই উপদেষ্টা। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টার সেই বৈঠকে প্রধান বিচারপতিকে প্রস্তাব দেওয়া হয় পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার।
প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলা সেই বৈঠকে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তা বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দেন। এই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বই পালন করে যেতে চান তিনি। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে তা জানা যায়।
যদিও বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোন কথা বলতে রাজি হননি, আইন উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। এখন অনেক ব্যস্ত আছি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে চলবে কি না দেশ অথবা নতুন কোনো পথ খোঁজা হবে তা দ্রুত পরিস্কার করা উচিৎ।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, যদি সংবিধানের ভেতরে থাকতে চান তাহলে কনস্টিটিশনের মেকানিজম মেনে চলতে হবে। আর যদি সংবিধানের বাহিরে যেতে চান, তাহলে সেটাও সংশ্লিষ্টদের বলতে হবে বর্তমান কনস্টিটিশনের কি হবে।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করবেন স্পিকারের কাছে। যেহেতু স্পিকার পদত্যাগ করে এখন শুন্য, ডেপুটি স্পিকার কারাগারে আছেন বলে আমরা জেনেছি। সুতরাং সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সেক্ষেত্রে আমার মতামত হচ্ছে, যদি কোনো সময় রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চান তিনি নিজে নিজে পদত্যাগ করবেন। এ পদত্যাগটা কাউকে এড্রেস করে করতে হবে এটা নেসেসারি না, যোগ করেন তিনি।