গাজীপুরে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের তোপের মুখে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলিরা (এপিপি) পদত্যাগ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও নিয়োগপ্রাপ্ত পিপি মোস্তফা কামালসহ সাতজন এপিপি পদত্যাগ করেন।
আইনজীবীরা জানায়, নিয়োগ পাওয়া অন্য কৌঁসুলিরাও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) আগেই আদালত ত্যাগ করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী আইজীবীরা বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একটি জরুরি মিটিং সমিতির ৮ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি ড. সহিদউজ্জামানের সভাপতিত্বে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সুলতান উদ্দিন, সাবেক পিপি আব্দুল খালেক, গাজীপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসিনা জাহান বিথী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় সভায় উপস্থিত হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত পিপি মোস্তফা কামাল। তার এ সিদ্ধান্তে উপস্থিত আইনজীবীরা সাধুবাদ জানান।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম গাজীপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা জানান, ‘জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি, এপিপিসহ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সাতজন সরকারি কৌঁসুলি পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কৌশলে আদালত ত্যাগ করেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত জিপি সোলায়মান দর্জি।’
এ বিষয়ে আলোচিত জিপি ও পিপির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার গাজীপুর আদালতে ৭১ জন সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এতে বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সকল নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আদালতে বিক্ষোভ করে আসছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা। বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা গত বুধবার জিপি ও পিপির অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।