আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা–সংক্রান্ত নতুন যে আইন হবে, সেখানে কথা বলার জন্য কোনো অপরাধ হবে না। শুধু কম্পিউটারভিত্তিক অপরাধে শাস্তি থাকবে। যেটা সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত।
রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনের আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে শনিবার (১৬ নভেম্বর) আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) বঙ্গোপসাগর সংলাপ বা ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ এ আয়োজন করেছে।
আসিফ নজরুল বলেন, গত তিন মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা হয়নি। একটি মামলা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে করা হলেও তাঁরা তা না চালানোর নির্দেশ দেন।
ভুল তথ্য ও অপতথ্য প্রসঙ্গে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাবের গবেষণার তথ্য তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের সর্বশেষ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ সময় আগের চেয়ে তিন গুণ বেশি অপতথ্য ছড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অনেক বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
অপতথ্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো হয় উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, কিছু অপতথ্যের প্রভাব খুব বাজে হয়। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নিয়েও নানা অপতথ্য ছড়িয়েছে। ভুল তথ্য ও অপতথ্য গণতন্ত্র ও সম্প্রীতির জন্য অনেক ক্ষতিকর। সৎ ও সুসাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ভুল ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বর্তমান সরকার স্পিচ অফেন্স-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ হাজার ৩৪০টি স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলার মধ্যে বিচারাধীন ৮৭৯টি মামলা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। তদন্তাধীন ৪৬১টি মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।