ঘুষের হার নির্ধারণ, শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে শোকজ
শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম কাশেম

ঘুষের হার নির্ধারণ, শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে শোকজ

শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আদালত সহায়ক কর্মচারীদের উৎকোচ প্রদানের অন্যূন ও অনূর্ধ্ব হার নির্ধারণী সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম কাশেমকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

বিচারপ্রার্থী জনতার স্বার্থ রক্ষা ও আদালত হতে সব ধরণের আর্থিক দুর্নীতি বিলোপ করার লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ২৫ ধারায় বর্ণিত জাস্টিস অব পিস -এর ক্ষমতা বলে আজ রোববার (১৬ মার্চ) এই শোকজ করেন শরীয়তপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল বাশার মিঞা।

কারণ দর্শানোর চিঠির ভাষ্য মতে, সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম কাশেমের সভাপতিত্বে গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় আদালতের পেশকার, পিয়ন ও জি.আর.ও দেরকে মামলা দায়ের, দরখাস্ত ও জামিননামা এবং গারদখানায় ওকালতনামা স্বাক্ষরের সময় উৎকোচ প্রদানের অন্যূন ও অনূর্ধ্ব হার নির্ধারণ করা একটি কার্যবিবরণী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুনআদালতে ঘুষ গ্রহণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী বেশ কিছু সচেতন পাঠক সমাজের মাধ্যমে এই নেতিবাচক সংবাদ শরীয়তপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল বাশার মিঞার গোচরীভূত হয়। সংবাদ প্রতিবেদকের জিজ্ঞাসাবাদে তর্কিত কার্যবিবরণীর সত্যতা স্বীকার করে সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম কাশেম তর্কিত সিদ্ধান্ত দ্বারা ঘুষ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

পরিমাণ যাই হোক না কেন, ঘুষ গ্রহণ ও প্রদানের যাবতীয় উদ্যোগ সমানভাবে নিন্দনীয় ও বেআইনি কাজ। বিচার বিভাগ থেকে যখন সব ধরণের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা (Zero Tolerance) নীতি গ্রহণ করা হয়েছে ঠিক তখন সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম কাশেমের সভাপতিত্বে গৃহীত এই ধরণের বেআইনি ও নৈতিকতা বিবর্জিত অন্যূন ও অনূর্ধ্ব হারে উৎকোচ প্রদানের উদ্যোগ আইন পেশার মতো একটি মহৎ পেশাকে যেমন কলুষিত করেছে তেমনি বিচারপ্রার্থী জনগণের নিকট বিচার বিভাগের মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে।

এই প্রেক্ষিতে এমন বেআইনি উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে সুপারিশ করা হবে না সে বিষয়ে এই চিঠি পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।