বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় হচ্ছে, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ
সুপ্রিম কোর্ট

ভূমি সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করতে রুল

আদালতে বিচারাধীন ভূমি সংক্রান্ত মামলার তথ্য মন্ত্রণালয়ের (land.gov.bd) ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

রিটে ভূমি উপদেষ্টা, ভূমি সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে আদালতে বিচারাধীন ভূমি সংক্রান্ত মামলার তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছিলেন রিটকারী আইনজীবী।

আবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে দেওয়ানি মামলা-মোকদ্দমায় দীর্ঘসূত্রিতা বিদ্যমান। ফলে বিচারাধীন মামলার তথ্য গোপন করে অনেকেই ভূমি হস্তান্তর করে। এতে প্রকৃত ক্রেতা জমি ক্রয় করে হয়রানির শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত হন।

আবার কেউ কেউ এক মামলায় হেরে যাওয়ার পর তথ্য গোপন করে দীর্ঘসময় পর পুনরায় মামলা করেন। এক্ষেত্রে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য না থাকায় যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়না।

অনেক সময় দালাল চক্র ক্রেতাকে প্রতারিত করে। বিচারাধীন মামলার জমি ক্রয় করে কেরেতা নিঃস্ব হয়ে যায়। মামলা সংক্রান্ত তথ্য মৌজা – খতিয়ান নং, দাগ নং কোন আদালতে বিচারাধীন এসব তথ্য সহকারে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে জনদুর্ভোগ ও হয়রানি অনেকাংশে কমে যেতে পারে।

এমতাবস্থায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (land.gov.bd) বিভিন্ন আদালতে চলমান ভূমি সংক্রান্ত মামলার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে জনহয়রানি ও দুর্ভোগ কমানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয় আবেদনে।

তবে সেই আবেদনের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনস্বার্থে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।