নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সুষ্ঠু কাঠামো তৈরিতে সরকারের উদ্যোগ: শারমীন এস মুরশিদ

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিরোধে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কথা জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ঢাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিরাজমান পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে, যা নারীর নিরাপত্তাকে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে ফেলছে।”

তিনি আরও বলেন, “নৈতিকতার অবক্ষয়, ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব এবং সামাজিক উদাসীনতার কারণেই নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েই চলেছে।”

শারমীন এস মুরশিদ জানান, “নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে একটি সামগ্রিক কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

তাছাড়া, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল, কুইক রেসপন্স টিম ও টাস্কফোর্সের মাধ্যমে কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শারমীন বলেন, “বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকলেও বাস্তবে অপরাধের সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে কমছে না।”

তিনি উল্লেখ করেন, “পরিবার, কর্মক্ষেত্র, অনলাইন ও পাবলিক স্পেস—সবখানেই নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।”

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ১৪ ধারা এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনেক মিডিয়ায় ভিকটিমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যা আইনের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, “অপরাধীর ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করা জরুরি, ভিকটিমের নয়। নারীদের একসাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ-ও উপস্থিত ছিলেন।