পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ
আইনি নোটিশ

নারীদের সম্পত্তির অধিকার রক্ষায় হেবা ও দানপত্রের অপব্যবহার বন্ধে আইনি নোটিশ

বাংলাদেশে নারীদের পৈতৃক সম্পত্তিতে ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করতে হেবা ও দানপত্র দলিলের অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার (২০ জুলাই)  সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে এই নোটিশ পাঠান।

আইনি নোটিশে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো নারীরা উত্তরাধিকার সূত্রে পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায্য অংশ থেকে পরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে হেবা ও দানপত্র দলিলের অপব্যবহার।

বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মানসিক ও সামাজিক চাপে ফেলে অনেক সময় তাদের ছেলে ও ছেলের পরিবারের সদস্যরা সম্পত্তি হেবা বা দানপত্র দলিলের মাধ্যমে নিজেদের নামে লিখে নেন। এতে করে কন্যাসন্তানরা সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হন।

আইনজীবী মাহমুদুল হাসানের ভাষায়,

“আইনের অপব্যবহার করে নারীদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। হেবা বা দানপত্র দলিলের আড়ালে বহু প্রতারণা হচ্ছে। ইসলামী শরীয়াহ ও সংবিধানের সমতার নীতির সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিক।”

আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়— হেবা ও দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রির সময় যেন দাতার ইচ্ছা স্বাধীন কিনা, মানসিকভাবে সুস্থ কিনা, এবং কন্যাসন্তানসহ সব উত্তরাধিকারীর ব্যাপারে অবগত কিনা—এসব যাচাই করার বাধ্যতামূলক বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

এজন্য রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে একটি স্বাধীন যাচাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কমিটিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও আইন সহায়তা প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নোটিশ পাঠানো হয়েছে যাদের কাছে

  • আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব

  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব

  • মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব

  • আইন কমিশনের চেয়ারম্যান

  • রেজিস্ট্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

নোটিশটি রেজিস্ট্রি ডাক ও ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, যদি ১০ দিনের মধ্যে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে।

এডভোকেট মাহমুদুল হাসান বলেন,

“এটি শুধু নারী অধিকার নয়, বরং বাংলাদেশের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত জরুরি।”