বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে। এতে আপিল বিভাগের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হককে কমিশনের সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে।
এ ছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (জেলা জজ) মো. আজিজুল হককে কমিশনের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁদের মনোনয়ন দেন বলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
পূর্ববর্তী বনাম নতুন কমিশন
-
গঠন কাল: পূর্ববর্তী কমিশনগুলো বিভিন্ন সময়ে গঠিত হয়েছে, যেমন ২০১০, ২০১৬, ২০২১ সালে কমিশন গঠন হয়েছিল।
নতুন কমিশন: সর্বশেষ কমিশনটি ২০২৫ সালে পুনর্গঠন করা হয়েছে। -
সদস্যরা: সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতি ও আইন বিভাগ থেকে সদস্য নিয়োগ পেতেন।
নতুন কমিশন: আপিল বিভাগের বিচারপতি এস. এম. এমদাদুল হক সভাপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও জেলা জজ মোঃ আজিজুল হক সদস্য। -
মূল কার্যক্রম: বিচারকদের বেতন কাঠামো, ভাতা, অবসর সুবিধা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নির্ধারণ ও সংশোধন।
নতুন কমিশন: একই কার্যক্রম, তবে বর্তমান অবস্থা, অর্থনৈতিক পরিবেশ ও নতুন আইন অনুসারে বেতন ও ভাতা পর্যালোচনা। -
সুপারিশের গুরুত্ব: পূর্ববর্তী কমিশনের সুপারিশগুলো বিচার বিভাগের কর্মীদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
নতুন কমিশন: নতুন কমিশনের সুপারিশ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিচারকদের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। -
আইনগত ভিত্তি: ১৯৯৭ সালের বিচারক পে কমিশন আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনসমূহের ভিত্তিতে কাজ।
নতুন কমিশন: একই আইনের আওতায়, তবে বর্তমান সরকারের নীতিমালা ও বাজেট পরিস্থিতি বিবেচনায় নেবে। -
চ্যালেঞ্জ: অর্থনৈতিক মন্দা, বাজেট সীমাবদ্ধতা, বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন প্রয়োজনীয়তা।
নতুন কমিশন: অধিকতর আধুনিকায়ন, ন্যায্য বেতন কাঠামো স্থাপন ও বিচারক-দপ্তর কর্মীদের জীবনমান উন্নয়ন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (পে-কমিশন) বিধিমালা বিষয়ে প্রস্তাব করেছিল বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
এতে সংস্কার কমিশন অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (পে-কমিশন) বিধিমালা, ২০০৭ এর ৪ বিধির অধীনে পে-কমিশন গঠন এবং বিচারকদের বেতন-ভাতাদি সংক্রান্তে নতুন সুপারিশ প্রণয়ন, বিচারকদের জন্য আচরণবিধি ও বদলি নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিচারকদের মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তাব করেন।