অ্যাডভোকেট মাহফুজা খাতুন
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক অ্যাডভোকেট মাহফুজা খাতুন

মাইলস্টোন ট্রাজেডি : মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অ্যাডভোকেট মাহফুজাও

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহফুজা খাতুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

মাহফুজা খাতুন উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন।

সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নিহত শিক্ষিকা মাহফুজার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৯ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ২৩ জন চিকিৎসাধীন এবং ১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২১ জুলাই দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় শিক্ষিকা মাহফুজাসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দামুদিয়াড় গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের নাতনি মাহফুজা ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মরহুম মহসিন আলীর কন্যা। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র মেয়ে নওশিন, মা, এক ভাই ও তিন বোনসহ অসংখ্য স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

মাহফুজার মৃত্যুসংবাদ পৌঁছালে গ্রামের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুদের রক্ষা করতে গিয়ে তিনি অন্যান্য দুই শিক্ষকের সঙ্গে গুরুতর দগ্ধ হন। প্রথমে সিএমএইচে এবং পরে বার্ন ইনস্টিটিউটে তার চিকিৎসা চলছিল।

তিনি ঢাকা জজকোর্টে তালিকাভুক্ত আইনজীবীও ছিলেন এবং সময় পেলে আদালতে কাজ করতেন।

এদিকে অ্যাডভোকেট মাহফুজা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। সমিতির এক বিবৃতিতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।