কক্সবাজারে ৩১ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
এজলাস, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের

কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের মামলায় এক আসামীর যাবজ্জীবন

কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের মামলায় জামাল উদ্দিন প্রকাশ জামাল হোসেন প্রকাশ লেডু নামের এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত আসামী টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কে কে পাড়ার মৃত আমির মোহাম্মদ সওদাগর ও আসমা খাতুনের পুত্র। তবে তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা এবং আসামী পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট হরি সাধন পাল।

মামলার বিবরণ

২০২২ সালের ১ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ থানা পুলিশ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার দেখানো মতে খাটের নিচ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় এসআই মোঃ মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর টেকনাফ থানা মামলা নং ০৪/২০২২; জিআর মামলা নং ১৯৭/২০২২; এসটি মামলা নং ৫০৯/২০২৩।

বিচার ও রায়

২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর পক্ষে জেরা, ২ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য, আলামত প্রদর্শন ও রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে আদালত মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করে।

আদালত ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ) ধারায় জামাল উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

রায়ে বলা হয়, দণ্ডিত আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে তার সাজা কার্যকর হবে।