রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আগামী ৪ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, লিভ মঞ্জুর করা হয়েছে এবং আগামী ৪ নভেম্বর শুনানি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।
রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ও অগ্রাধিকারের বিষয়ে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ একটি রায় দিয়েছিল, যা পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হয়।
ওই রায়ে প্রধান বিচারপতির পদক্রম উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান করা হয়, জেলা জজদের পদক্রম সচিবদের সমান করা হয় এবং স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্তদের যথাযথ অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়।
এই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান।
রিভিউতে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। এ আবেদনের শুনানি গত ২৭ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ জুলাই শেষ হয়।
আদালতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, রিট আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির এবং রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
পটভূমি হিসেবে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে প্রথম ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন হয়। পরে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ সংশোধন করা হয়।
তবে সংশোধিত কাঠামোতে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের অবস্থান নিচের দিকে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
হাইকোর্ট ২০১০ সালে সংশোধিত তালিকাটি অবৈধ ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। ২০১৫ সালের আপিল বিভাগের রায়ই এখন পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে এসেছে।