বিচার বিভাগ নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা না করার আহ্বান বিচারপতির

বিচার বিভাগ নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা না করার আহ্বান বিচারপতির

অর্ডার যেকোনো পক্ষেই যেতে পারে, তবে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার বিভাগকে সমালোচনা করা উচিত নয়—এমন আহ্বান জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী।

ঢাকা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত মতবিনিময়সভায় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “যে কোনো অর্ডার পক্ষে-বিপক্ষে যেতে পারে। তবে এর সমাধানের জন্য উপরস্থ আদালত রয়েছে। সেখানে যাবেন। যদি সেখানেও না হয়, তাহলে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। কিন্তু একটা অর্ডার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দয়া করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ফেসবুকে বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা করবেন না। বিচার বিভাগের সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়া মানে আপনারও সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়া। আপনিও বিচার বিভাগের অন্যতম অংশ। আইনজীবী ছাড়া বিচারকাজ চলতে পারবে না।”

ঢাকার আদালতের অবকাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংকট নিরসনে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আদালতে ২০ তলা ভবন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণের ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদে ডিএমপি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি আদালতে এসির ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে বিদ্যুতের সঠিক সরবরাহের জন্য সাবস্টেশন বসানো হচ্ছে। লিফটের ব্যবস্থাও করা হবে।”

তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা হয়েছে যে আইনজীবী ও বিচারকরা যথাযথ লজিস্টিক সাপোর্ট পাচ্ছেন না। জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবুও বিচারকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন, বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলম ভূইয়া।

এ সময় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, “সিএমএম ও সিজেএম আদালত থেকে প্রতি বছর রাজস্ব দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে যথাযথ সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে না। সিএমএম কোর্টের এত বড় ভবনে মাত্র দুইজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে। এই দুইজন দিয়ে কীভাবে পরিষ্কার রাখা সম্ভব? সিটি করপোরেশন যদি প্রতিদিন ময়লার গাড়ি পাঠায়, তাহলে আদালত পরিষ্কার রাখা যাবে।”