হাইকোর্টের বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান

বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ, আরও ৪ বিচারপতির বিষয়ে চলছে তদন্ত

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গ্রহণ করেছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এ পদত্যাগ গ্রহণ করে।

প্রসঙ্গত, বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। এর অংশ হিসেবে গত ৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির নিকট নিজের স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র পাঠান।

এর আগে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে বিচারপতি আখতারুজ্জামানকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়। তিনি ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে কাউন্সিলের সামনে হাজির হয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দেন। পরবর্তীতে ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের মোট ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তাদের বেঞ্চ প্রদান থেকে বিরত থাকেন প্রধান বিচারপতি। পরবর্তীতে একে একে কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এর মধ্যে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়ায় বিচারপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান।

এছাড়া বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অবসর নেন। বিচারপতি খিজির হায়াতকে ১৮ মার্চ ২০২৫ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করেন।

সবশেষে বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণের মাধ্যমে ওই তালিকার আরও একজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো। বর্তমানে অবশিষ্ট চারজন বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।